ফেরি তোলার খরচ দুই কোটি, সময় লাগবে আরও ৪ দিন!

পাঁচ দিন আগে কয়েকটি যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে ডুবে যাওয়া ফেরি ‘আমানত শাহ’ এখনো উদ্ধার করা যায়নি। সরকারের একাধিক উদ্ধারকারী যান ব্যর্থ হওয়ায় এবার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেনুইন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের মাধ্যমে এটি উদ্ধারের চুক্তি করে বিআডব্লিউটিএ। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ফেরিটি উদ্ধারের জন্য খরচ চাওয়া হয়েছে দুই কোটি টাকা।

সোমবার সকাল থেকে টিমের ডুবুরিরা কাজ শুরু করলেও এখনো ক্রেনগুলো মানিকগঞ্জের পাটুয়ারিতে পৌঁছায়নি। তবে পুরোদমে কাজ শুরু হলে তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ফেরিটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ফেরি উদ্ধারকারী জেনুইন এন্টারপ্রাইজের ডুবরি দলের প্রধান আব্দুর রহমান।

গণমাধ্যমকে আব্দুর রহমান বলেন, নির্দেশনা পেয়ে রবিবারই আমরা চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়ে সোমবার ভোরে ঘাটে পৌঁছাই। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রাথমিক অনুসন্ধান কাজ শুরু করা হয়েছে।

আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে ফেরিটি উদ্ধার সক্ষম হবেন এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের আরও সদস্য পথে রয়েছেন। তাদের সঙ্গে আসছে উদ্ধারকাজের মালামাল বোঝাই ট্রাক।

ডুবুরি দলেন প্রধান আব্দুর রহমান বলেন, নদী পথে আমাদের নিজস্ব ছয়টি উইন্স বার্জে ৬টি পন্টুনসহ আসছে ৬ ইঞ্চি ওয়্যার। প্রতিটি পন্টুন দিয়ে ৪০০ টন ওজন তুলতে সক্ষম। এই টিমে ৫০ জনের ডুবুরি দল আছে বলেও জানান তিনি।

গত ২৭ অক্টোবর সকাল পৌনে ১০টার দিকে পাটুরিয়া পাঁচ নম্বর ঘাট ১৪টি পণ্যবাহী যানবাহনসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে আমানত শাহ ফেরিটি ডুবে যায়।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ফেরির সঙ্গে ডুবে যাওয়ায় ১৪টি পণ্যবাহী যানবাহন ও চারটি মোটরসাইকেল উদ্ধার শেষ হয়। পরে উদ্ধার করা এসব যানবাহন মালিকদের কাছে হস্তান্তর করে শিবালয় পুলিশ। এরপর ডুবে যাওয়া যানবাহন উদ্ধারে কাজ শুরু করে ‘হামজা’। এতে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা অংশ নেন।

ঘটনার চতুর্থ দিনে গত শনিবার সকাল থেকে রুস্তম নামের বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী আরেকটি জাহাজ উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।

জেনুইন এন্টারপ্রাইজের প্রধান ডুবুরি জানান, তাদের ডুবরি দলসহ তিন ইঞ্চি ওয়্যার ঘাটে আসামাত্র প্রাথমিক সার্ভে কাজ শুরু হবে। তবে ফেরি উদ্ধারের মূলকাজ শুরু হবে চট্টগ্রাম থেকে নদী পথে ছয়টি উইন্স বার্জের আসা ছয়টি পন্টুন ভর্তি ইকুইভমেন্টস আসার পরে।

এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক (উদ্ধার) ফজলুর রহমান বলেন, জেনুইন এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে আমাদের প্রাথমিক চুক্তি সম্পাদন হয়েছে। তাদের সব ইকুইভমেন্টস এলে তারা ফেরি তোলার কাজ শুরু করবে।

এটি তুলতে কি পরিমাণ টাকা ব্যয় হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেনুইন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে দুই কোটি টাকা ডিমান্ড করেছে। আমরা তাদের জানিয়ে দিয়েছি ফেরি উদ্ধারের কাজ শুরু করতে। টাকার ফয়সালা পরে মিটবে।