যাত্রী সংকটে বাণিজ্য মেলাগামী বাস, ভোগান্তিতে দর্শনার্থীরা

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: রাজধানী থেকে মেলাগামী সাধারণ মানুষদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির বেশ কিছু বাস চালু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন। কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণে যেতে এ সেবা তারা চালু করেছে। এ জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। প্রায় ১৪ কিলোমিটার এ পথ পাড়ি দিতে বিআরটিসি বাসের সময় লাগছে কম বেশি ৩০ মিনিট। কিন্তু বাণিজ্য মেলা এখনও জমে না উঠায় যাত্রী সংকটে ভুগছে বাসগুলো। তাই মেলা প্রাঙ্গণে আসতে বাসের টিকিট কেটে একজন যাত্রীকে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে বাস ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বাসগুলোতে যাত্রী পরিপূর্ণ না হলে একটি বাসও ছাড়ছে না। সে কারণে মেলাগামী সাধারণ দর্শনার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

যাত্রীদের এমন বিড়ম্বনার বিষয়টি স্বীকার করে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের লাইন ম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, এটা ঠিক টিকিট কেটে যাত্রীদের অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আমাদের বাস কিন্তু পর্যাপ্ত আছে, যাত্রী বাড়লে প্রয়োজনে বাস আরও বাড়ানো হবে। বর্তমানে মেলা জমে না উঠায় এখনও সেভাবে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। এই কারণেই বাস ছাড়তে কিছুটা দেড়ি হচ্ছে। তবে সপ্তাহখানের মধ্যেই মেলাগামী মানুষের সংখ্যা বাড়বে। তখন একটি বাস ছাড়ার পরেই আরেকটি বাস ছাড়া হবে। এখন প্রায় ৩০ মিনিট পর পর একটি করে বাস ছাড়া হচ্ছে। সকালের দিক থেকে বিকেলের আগ পর্যন্ত যাত্রী সংখ্যা অনেক কম থাকে। বিকেলের দিকে যাত্রী কিছুটা বাড়ে।

এদিকে গত ১ জানুয়ারি পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে বাণিজ্য মেলা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। এবার মেলার প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা আর শিশুদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এবারই প্রথম স্থায়ী ভেন্যুতে বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগে এ মেলা হতো রাজধানীর আগারগাঁওয়ে। মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল ও ১৫টি ফুড স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এবারের মেলায় প্রদর্শিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া, জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, ক্রীড়া সামগ্রী, স্যানিটারি ওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি।