এলএনজি ক্রয়-বিক্রয়ের প্রতিষ্ঠান বাড়লো

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি ক্রয় ও বিক্রয়ের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরও আটটি বাড়ানোর নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত সাংবাদিকদের তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাইদ মাহবুব। 

তিনি বলেন, আজকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৪তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিতে একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক স্পট মার্কেট থেকে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরও আটটি বাড়িয়ে চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: জাপানের এলএনজি জাপান কর্পোরেশন, সোকার ট্রেডিং ইউকে লিমিটেড, কোরিয়ার পোক্সো ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন, কাতার এনার্জি ট্রেডিং এলএলসি, জাপানের ইনপেক্স কর্পোরেশন, সিঙ্গাপুরের প্যাভিলিয়ন এনার্জি ট্রেডিং অ্যান্ড সাপ্লাই পিটিই লিমিটেড, পেট্রোচীনা ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড ও পিটিটি ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড।

এলএনজি কেনার জন্য কোম্পানির সংখ্যা বাড়ানো হলো। কিন্তু এলএনজি কেনা এখন বন্ধ- এমন প্রশ্নের জাবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, আওতা বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাব এনেছে। আগে ছিল ১৬টি প্রতিষ্ঠান। এখন নতুন করে আরও আটটি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করেছে। ভবিষ্যতে যখন কেনার কার্যক্রম চালাবে তখন এই ২৪টি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাবে। প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য এটা করা হয়েছে।

খুব শিগগিরই এলএনজি কেনা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ রকম কিছু সভায় আলোচনা হয়নি।

এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অসমাপ্ত কর্মসূচিসহ অন্যান্য কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য অনুষ্ঠানের বিভিন্ন সেবা ক্রয়ে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।