‘জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা’

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে যা রাতারাতি কমানো সম্ভব নয়, আমাদের একটু সময় দেন।’

বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন (টিসিবি) কর্তৃক এক কোটি পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমরা যাতে করে টিসিবিকে আরও ভালো করে সাজাতে পারি এ জন্য কাজ করছি। নিজেরাই পণ্য সরাসরি আমদানি করে ভোক্তাদের সরবরাহ করতে পারি। সেই চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ২০২০ সালে ১৭ মার্চ থেকে অদ্যবধি টিসিবি সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে দেশব্যাপী পণ্য বিক্রি করে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রধানমন্ত্রী স্বল্প আয়ের জনগণকে মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্দেশনার আলোকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সারাদেশে এক কোটি পরিবারকে টিসিবি’র মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে চিনি, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, ছোলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের কার্যক্রম গ্রহণ করে।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই মানবিক সহায়তা প্রতি মাসেই পাবেন দেশের মানুষ। তবে এখন আর আগের মতো ট্রাকে বিক্রি হবে না। সারাদেশে ডিলারদের দোকান থেকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে নিতে হবে। আর এ সহায়তায় দেশের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন।’

তিনি বলেন, ‘রমজান ও কোরবানীর সময়ে এ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এতে সরকার ভর্তুকি মূল্যে প্রায় এক লাখ ৭৬ হাজার ৪৫২ মে. টন খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শুধুমাত্র ঢাকায় সাড়ে চার লাখ ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ বাকি রয়েছে। বাকি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।’

কার্ড প্রস্তুত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘করোনাকালে ৩৮ লাখ ৫০ হাজার পরিবারকে নগদ সহায়তা দেয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে কাজ বা চাকরি হারানো প্রায় আট লাখ ৫০ হাজার জন কাজে ফিরে এসেছেন। তাদের বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সারাদেশের ৭০ লাখ মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হয়েছে।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আমাদের কাছে এলেও ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে। এ কারণে আমরা আর একটু অপেক্ষা করছি। যাতে করে ভোজ্যতেল ও ডলারের দাম কিছুটা কমুক। যাতে করে আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নেগোশিয়েশন করতে পারি। তবে চিনির দাম নিয়ে আমরা ভাবছি না।’

অক্টোবর মাসের মধ্যেই দ্রব্যমূল্য কমে আসবে বলে আশা করেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিআইবি যে প্রতিবেদন করেছে তারা তাদের মতো করেছে। কিন্তু তারা প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরেনি।’

সংবাদ সম্মলনে অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, জাতীয় ভোক্তা-আধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।