ডিএসইতে লেনদেন ২শ কোটি টাকার নিচে

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পর দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাপক লেনদেন খরা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এদিন মাত্র ২৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৩৭টির। যার ধাক্কা লেগেছে সূচকেও। 

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ লেনদেন হয়েছে মাত্র ১৯৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর আগে লেনদেনের এমন শোচনীয় অবস্থা হয়েছিল ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর সময়ে।

পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা গেছে, করোনার বছর ২০২০ সালের ৭ জুলাই ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১৩৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আজ ২ বছর ৫ মাস ২০ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে এ বাজারে। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি টাকা। 

অথচ গত বুধবার (২১ ডিসেম্বর) লেনদেন খরা কাটিয়ে উঠতে পুঁজিবাজার থেকে স্বল্প মূলধনী ১৬৮টি কোম্পানির শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সে সময় বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করে লেনদেন বাড়াতে মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনে মাত্র ৫ শতাংশ শেয়ারধারী কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি বাজার মুভ করবে।

কিন্তু বাজার উল্টো আচরণ করছে। লেনদেন বৃদ্ধির পরিবর্তে আরও কমছে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার আগের দুদিন যথাক্রমে লেনদেন হয়েছিল ৩২২ কোটি এবং ৪৫৬ কোটি টাকা। আর ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার ঘোষণার পর দুদিন যথাক্রমে বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ২২৭ কোটি এবং আজ সোমবার লেনদেন হয়েছে ১৯৮ কোটি টাকা।  

ডিএসইর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবারের মতো সোমবারও সূচক ওঠানামার মধ্যদিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু শেয়ার বিক্রির চাপে  শেষ হয়েছে সূচক পতনে। এদিন ৩২৯টি প্রতিষ্ঠানের মাত্র ৩ কোটি ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৬টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। লেনদেন হওয়া ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ১৩৭টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

তাতে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১২ দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল মুন্নু সিরামিকসের শেয়ার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। তৃতীয় স্থানে ছিল ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং অ্যান্ড স্টেশনের শেয়ার। এর পরের শীর্ষ দশ কোম্পানির অবস্থানে ছিল যথাক্রমে ওরিয়ন ফার্মা, সি পার্ল, বসুন্ধরা পেপার, এডিএন টেলিকম, জেনেক্স ইনফোসেস, অ্যাডভেন্ট ফার্মা এবং মুন্নু অ্যাগ্রো অ্যান্ড জেনারেল লিমিটেডের শেয়ার।

অপর বাজার সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৩০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ বাজারে লেনদেন হওয়া ১৩৭টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯টির ও কমেছে ৪১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।