ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা হচ্ছে: সজীব ওয়াজেদ

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:

ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।

শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ অভিযোগ করেন। পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো।

‘ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও কিছু তথ্য। গুজব থেকে দূরে থাকুন- সত্য তথ্য জানুন’ শিরোনামে ওই স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন, ‘দেশে সম্প্রতি ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ২০১৩ সালে দেশে ডিজেলের মূল্য ছিল লিটার প্রতি ৬৮ টাকা, পরবর্তীতে ২০১৬ সালে লিটার প্রতি ৩ টাকা কমিয়ে ৬৫ টাকা করা হয়। এরপর গত সাড়ে পাঁচ বছরে দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি হয়নি।’

তিনি লিখেছেন, ‘চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এর ফলে ডিজেলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসি ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হয়।’

চলতি বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি আরও লিখেছেন, ‘এ বছরের জুনে লিটারপ্রতি ২ দশমিক ৯৭ টাকা, জুলাইয়ে ৩ দশমিক ৭০ টাকা, আগস্টে ১ দশমিক ৫৮ টাকা, সেপ্টেম্বরে ৫ দশমিক ৬২ টাকা ও অক্টোবরে ১৩ দশমিক ০১ টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। এতে গত সাড়ে পাঁচ মাসে ডিজেলের জন্য বিপিসির লোকসান হয়েছে প্রায় ১ হাজার ১৪৭ দশমিক ৬০ কোটি টাকা। একইসঙ্গে ডলারের মূল্য ২০১৬ সালে ৭৯ টাকা থেকে চলতি মাসে ৮৫ দশমিক ৭৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ফলে ডলারে মূল্য পরিশোধে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।

প্রতিবেশী দেশের ডিজেলের মূল্যের তুলনা করে সজীব ওয়াজেদ জানান, ‘ভারতে জ্বালানি তেলের মূল্য কমার পরও পশ্চিমবঙ্গে ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৯০ রুপি বা ১০৪ টাকা, দিল্লিতে ৯৮ দশমিক ৪২ রুপি বা ১১৪ টাকার সমান। নেপালেও এই মূল্য ১১২ দশমিক ৩৯ নেপালি রুপি বা ৮১ টাকা। প্রতিবেশী এসব দেশের চেয়ে আমাদের মূল্য কম রয়েছে। এ কারণে আবার চোরাকারবারিরা এখান থেকে প্রতিবেশী দেশে ডিজেল পাচার করছে।’

জ্বালানি তেলে সরকারি ভর্তুকির কথা উল্লেখ করে স্ট্যাটাসের সবশেষে তিনি লেখেন, ‘সরকার ক্রমাগতভাবে জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে আসছে। এর ফলে এ দেশে দাম কম থাকায় বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, যা রোধকল্পে এই মূল্যবৃদ্ধি এবং এ নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।’