নির্দেশনা অমান্য, ক্রেডিট কার্ডে দিতে হচ্ছে বাড়তি সুদ

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:

ক্রেডিট কার্ডে এখনো ইচ্ছামতো বাড়তি সুদ আদায় করছে ব্যাংকগুলো। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদ নেওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা বেধে দিলেও মানা হচ্ছে না। ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধে নির্ধারিত তারিখের পরের দিন থেকে অপরিশোধিত বিলের ওপর সুদ আরোপের নিয়ম থাকলেও তা মানছে না ব্যাংকগুলো। এ কারণে সময়মতো বিল দিতে না পারা গ্রাহকদের অতিরিক্ত সুদ গুনতে হচ্ছে। তা নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা গেছে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর থেকে মানুষের মধ্যে কার্ডভিত্তিক কেনাকাটার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে বাড়তি ফি ও অতিরিক্ত সুদ আদায়ের অভিযোগ আসে গ্রাহকদের কাছ থেকে। এ কারণে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ক্রেডিট কার্ডে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা ২০ শতাংশ ঠিক করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অপরিশোধিত বিলের ওপর এই সুদ বিল পরিশোধের নির্ধারিত সর্বশেষ তারিখের পর দিন থেকে হিসাব করতে বলা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্ট পর্যন্ত এক বছরে ব্যাংকগুলোর ইস্যু করা কার্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৬৬ লাখ ৩৩ হাজার। এর মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা গত এক বছরে এক লাখ ৬৭ হাজার বেড়ে হয়েছে ১৭ লাখ ৮৭ হাজার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, একটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডে ৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ সুদ অফার করে গ্রাহককে এসএমএস দিয়েছে। সুদে আসলে ১২টি সমান কিস্তিতে যা পরিশোধ করতে হবে। এ হিসাবে মূল এক লাখ টাকার সঙ্গে ইএমআই পদ্ধতিতে এক বছরে বাড়তি ৪ হাজার ৯৪২ টাকা পরিশোধ করার কথা। অথচ ব্যাংকটি গ্রাহক থেকে এক লাখ টাকায় সুদ নিচ্ছে ৯ হাজার টাকা। এর মানে প্রকৃতপক্ষে সুদ নেওয়া হচ্ছে ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ। এই সুদহার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত সর্বোচ্চ সীমার মধ্যে থাকলেও গ্রাহকের সঙ্গে এটি এক ধরনের প্রতারণা বলে মনে করেন সংশ্নিষ্টরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে ব্যাংকগুলো গ্রাহক স্বার্থ-পরিপন্থী কাজ করবে এটা হতে পারে না। নির্দেশনা লঙ্ঘনের সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খবর: বার্তা২৪.কম