সিটিং না লোকাল !

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:

ঢাকা শহরে ১৪ নভেম্বর থেকে সিটিং সার্ভিস, গেট লক সার্ভিস বন্ধ রাখা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলো ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। কিন্রতু তার পরেই সত সমস্যা বাস সিটিং না লোকাল এ নিয়ে দ্বিধা দ্বন্ধে সাধারণ যাত্রীরা। কিন্তু বাসে আগের চেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহণ করলেও নেওয়া হচ্ছে  সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি।

সিটিং সার্ভিসের অনুমতি না থাকলেও ঢাকায় ১২৮টি রুটে সিটিং সার্ভিস, গেট লকসহ বিভিন্ন সার্ভিসের বাস চলাচল করে।

মালিক সমিতির ঘোষণা দেওয়ার পরও এখনো বন্ধ হয়নি সিটিং সার্ভিস বাস। ভাড়া ঠিকই আগের সিটিং সার্ভিসের নিয়মে নেওয়া হচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে রাজধানীতে সিটিং ও গেটলক সার্ভিসের নামে বাসে আগের ভাড়ার সঙ্গে সরকারের ধার্য করা বাড়তিও ভাড়া যুক্ত করা হচ্ছে বিভিন্ন বাসে।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীতে এমন চিত্র দেখা যায়।এদিন দেখা যায়, বেশ কিছু পরিবহন নির্দেশনা অমান্য করে রাজধানীতে গেটলক বা সিটিং সার্ভিস বাস চলছে। বিকল্প অটো সার্ভিস বাসের যাত্রীদের সঙ্গে বাড়তি ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন কন্ডাক্টর।

বিকল্প অটো সার্ভিস বাসে মিরপুর ১২ নম্বর থেকে মতিঝিল যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী শেখ চুন্নু।

তিনি বলেন, আগে থেকে বাড়তি ভাড়া নিয়ে আসছে বাস মালিকরা। এখন তেলের দাম বাড়ায় ভাড়া আবারও বাড়ানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ সরকারের আমলে সব দিক থেকে সাধারণ জনগণকে ঠকানো হচ্ছে। তেলের দাম বাড়ায় বাস মালিকদের বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। গেটলক ও সিটিং সার্ভিস বন্ধ করলেও এ নির্দেশনা মানছে না বাস মালিকরা। গেট লকের কথা বলে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে কন্ডাক্টর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বাসের কন্ডাক্টর বলেন, মালিক বলে সিটিং সার্ভিসের ভাড়া তুলতে। আর যাত্রীরা দিতে চায় লোকাল বাসের ভাড়া। মালিক পক্ষের কাছ থেকে এখনো আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি লোকাল ভাড়া তোলার বিষয়ে। নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমরা গেটলক সিটিং সার্ভিস ভাড়া তুলবো। যাত্রীরা গেটলকের ভাড়া দিতে চাচ্ছেন না। যাত্রী দিতে চায় লোকাল ভাড়া। যাত্রীরা আমাদের সঙ্গে ভাড়া দেওয়া নিয়ে চিল্লাচিল্লি করছেন। এমনকি মারামারির ঘটনাও ঘটছে।

বিকল্প অটো সার্ভিস বাসের চলক রায়হান বলেন, আমাদের মালিক যেভাবে নির্দেশনা দেবে সেভাবেই আমরা বাস চালাবো। যদি বলে আগামীকাল থেকে গেটলক বাস চলবে না চালাবো না। লোকাল চালাতে বললে লোকাল চালাবো।