পুঁজিবাজারে আরও বড় পতন

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: দিনভর সূচক পতনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। ব্যাংক-বিমা আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব ক’টি খাতের শেয়ারের দাম কমায় এ দিন সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনও।

সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৫৩ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১৫০ পয়েন্ট। অর্থাৎ রোববারের চেয়ে সোমবার আরও বড় দরপতন হলো। এ নিয়ে টানা ছয় কার্যদিবস পর রবি ও সোমবার পুঁজিবাজারে দরপতন হলো।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জানুয়ারির প্রথম তিন সপ্তাহ টানা উত্থানের পর, এখন প্রফিট টেকিং মুডে আছেন বিনিয়োগকারীরা। এছাড়াও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অনেকেই। পাশাপাশি ব্যাংকারদের মতো ব্রোকারেজ হাউজে লেনদেনের ক্ষেত্রে টিকার সনদ লাগবে এমন নির্দেশনা আসছে, এ ভয়ে শেয়ার বিক্রি করে নগদ টাকা নিয়ে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। এসব কারণে পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ডিএসইতে ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের ২২ কোটি ৩২ লাখ ৬৫ হাজার ৭২২টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৭০টির; অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির দাম।

এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ৩৩ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ১৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৩ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ১৫ পয়েন্ট।

ডিএসইতে সোমবার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২১৩ কোটি ৪৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা কমেছে।

ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো বিএসসির শেয়ার। এরপর ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, পাওয়ার গ্রিড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ফুয়াংফুড, এপেক্স ফুট, এশিয়া ইনস্যুরেন্স, বিএসসিসিএল, ফরচুন সুজ এবং লিন্ডে বিডি লিমিটেড।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫০ পয়েন্ট কমে ২০ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২০৮টির; অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির দাম।

এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৭২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৪১ টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৮ কোটি ৮৫ লাখ ৩১ হাজার ৩৫ টাকার শেয়ার।