`বিইআরসিকে একটি শক্তিশালী রেগুলেটরি বডি হিসাবে দেখতে চায় ক্যাব’

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, এডভোকেট

জ্বালানির উপরে নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কাজ করতে গিয়ে ক্যাব যে সমস্ত বাঁধাগুলোর সম্মুখীন হয়েছে এবং যেটি ফিল্ড লেভেলের কাজ থেকে – কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর কাছে যেটি মূল্যায়ন তৈরি হয়েছে যে বিইআরসি আইন আসলে সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে কিনা, বিইআরসি আইন জ্বালানি সক্ষমতা তৈরি করার জন্যে কিংবা জ্বালানি সেক্টরটাকে রেগুলেট করার জন্যে যে আইন তৈরি করা হয়েছিলো বিইআরসি আসলে সেভাবে রেগুলেটরি বডি হিসাবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সেভাবে কাজ করতে পারছে কিনা। যদি না পারে তাহলে এগুলো কোথায়। তাদের কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা কি কেবল আইন নাকি অন্য কোনো বিষয়। এই বিষয়গুলোকে নিয়ে বিস্তারিত গবেষণার কাজ করেছে ক্যাব।

ক্যাব আসলে কাজ করতে গিয়ে যেটা দেখেছে বিইআরসি এজ অ্যা রেগুলেটরি বডি তারা তাদের যে আইনগুলো আছে সে আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে রেগুলেটরি বডি হিসাবে কাজ করতে পারছে কিনা। না করতে পারার যদি কোনো বিষয় থাকে, আমাদের অভিজ্ঞতায় বেশ কিছু জায়গায় তাদের ক্যাবের সক্ষমতা তৈরি আছে কিন্তু তারপরেও কাজ করতে পারছেনা। সেই জায়গায় ক্যাব আসলে তাদের সহযোগী হিসাবে থাকতে চায়। ক্যাব চায় একটা শক্তিশালী রেগুলেটরি বডি হিসাবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন যেন কাজ করে। তো এই বিইআরসিকে সক্ষমতা তৈরি করতে গিয়ে আমরা প্রথমেই দেখলাম যে তাদের দূর্বলতা – আইনের জায়গায় বেশ কিছু দূর্বলতা আছে। সেই দূর্বলতার অন্যতম জায়গাগুলো আমরা প্রথমেই যেটা আইডেন্টিফাই করেছি সেটি হলো ফরমেশন। এই বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনটা কমিশন গঠন করতে গিয়ে কমিশনের যোগ্যতা অযোগ্যতাগুলো কী, আমাদের স্লাইডের মধ্যে যদি দেখেন যে কোয়ালিফিকেশনগুলো বর্ণনা করা আছে – আমাদের সেকশন সেভেনের মধ্যে।

আসলে সেখানে স্বাধীন একটা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কিংবা মেম্বার হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা থাকা আইনের মধ্যে জরুরী ছিল যেটা আসলে নাই। চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সিটিজেন হবে কিংবা অন্যান্য যে সমস্ত সাতের দুই ধারার মধ্যে যে কথাগুলো বলা আছে এগুলো খুবই কমন গদবাধা বিষয়। বাংলাদেশের যেকোন কমিশন বা যে কোনো অথরিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে এই সমস্ত বিষয়গুলো থাকবে। আমি ঐ জায়গা থেকে চলে যেতে চাই সরাসরি সেকশন ইলেভেনে। সেকশন ইলেভেন বলছে – রিমুভ্যাল টাই – এটা অনেক বড় ধরনের জটিলতা তৈরি করে সেটি আমরা আমাদের কাজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি যেমন ধরুন বড় পুকুরিয়ায় কয়লা চুরির যে ঘটনা ঘটলো তাতে মামলা হয়েছে, মামলাতে অভিযুক্ত হয়েছে বিইআরসি’র মেম্বার আজিজ খান। তার বিরুদ্ধে মামলা হলো চার্জশিটভুক্ত আসামী হওয়ার পরেও জামিনও নিলেন না। সেখান তাকে অপসারন ও করা হলোনা। তিনি বিইআরসি’র মেম্বার হিসাবেই কাজ করছেন। এখন ক্যাবের পক্ষ থেকে ইনিশিয়েটিভ নেওয়া হয়েছে, বিইআরসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মেশিনারিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা কোনো একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, এই মেম্বারকে অপসারন করার জন্য – কারণ তিনি আইন অনুযায়ী থাকতে পারেন না। এখন তারা কোনোরকম পদক্ষেপ নেননি তাকে অপসারনের জন্য। না বিইআরসি না মেশিনারি, তাহলে এখন উপায় কী? উপায় ছিল মহামান্য রাষ্ট্রপতির মহোদয়ের কাছে যেন তাকে অপসারনের জন্য চিঠি পাঠানো হয়। এই চিঠি পাঠানোর জন্যও ক্যাব অনুরোধ করেছে। কোনো ধরনের কোনো সাড়া না পাওয়ার কারণে পরবর্তীতে কিন্তু আমাদেরকে আদালতের দারস্থ হতে হয়েছে। আদালতের দারস্থ হওয়ার পরে আদালতে যখন সিদ্ধান্ত আসবে তার ঠিক একদিন আগেই তিনি রিটায়ার্ড করে গেছেন। তবে পার্টলি আমাদের মামলাটা আমরা জিতেছি। সেখানে তাহলে এইযে পরিস্থিতিটা তৈরি হলো –  এটা যদি এমন থাকতো যে অপসারণের বিষয়টা বিইআরসি যদি নিজেই তাদের কোনো মেম্বারের ডিসকোয়ালিফিকেশনের কারণে যদি তাকে অপসারণ না করে সেক্ষেত্রে অপসারণের প্রক্রিয়াটা কীভাবে হবে। তাহলে এক্ষেত্রে কি একদম লকড্‌একটা প্রশ্নের মতো হয়ে গেলো যে ওখানে যারা যাচ্ছে তাদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ সরাতে পারবেনা। যদিও বলা হচ্ছে যে রাষ্ট্রপতি কোন কোন ক্ষেত্রে সরাতে পারবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যে কীভাবে কীভাবে তিনি যদি মেন্টালি ইনক্যাপাবল হন, তিনি যদি দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন, তিনি যদি সেকশন সেভেন, টু এবং থ্রি এর বিষয়বস্তু যোগ্যতা অযোগ্যতা যা বলা আছে সেগুলো অনুযায়ী যদি অযোগ্য প্রমাণিত হন তাহলে। কিন্তু এগুলো কোনোটাই কিন্তু আমি যেটা বললাম একটা ফৌজদারি মামলাতে তিনি অভিযুক্ত – আসামী তিনি চার্জশীটভুক্ত আসামী – তিনি বিইআরসি’র মেম্বার হিসাবে কাজ করছেন। বিইআরসি এখন কোনোরকম অ্যাকশন নিচ্ছেনা, সেগুলো দূর করবো কীভাবে?  সে জায়গায় আমাদের এখন আছে। এরপরে আমি চলে যেতে চাই সেকশন টুয়েন্টি-টু তে। আমরা এমপাওয়ারমেন্ট এর কথা বলছি। এমপাওয়ারমেন্টের এ ধারনাটা দেখবেন আইনের মধ্যে খুব পরিষ্কার ভাবে বলা আছে সেকশন টুয়েন্টি-টু’র আমি বিলটা পড়ে শুনাচ্ছি। বাকিগুলো হচ্ছে তাঁরা কী করবেন কমিশন কী কী করতে পারে সে কথাগুলো বলা আছে। ধারা বাইশের বিলটা যদি আপনাদের একটু পড়ে শুনাই। ওদের কমিশনের ফাংশন কী হবে?

এই প্রত্যেক কথার কিন্তু একটা আলাদা আলাদা মানে আছে এবং আলাদা গুরুত্ব আছে। তারপরে বলছে quality services determine tariff এই জায়গাটায় আমাদের সবচাইতে বেশি কাজ হয়েছে ক্যাবের তরফ থেকে। যে determine tariff and safety enhancement of electricity generation and transmission, marketing, supply, storage, and distribution of energy, দেখেন এ কথাগুলো প্রত্যেকটা কমা দিয়ে দিয়ে সেপারেট করা হয়েছে এবং সেপারেট করার পিছনে কারণটাই এই এখানে যেন বিইআরসির তরফ থেকে দেওয়া হয়। Determination of tariff-টা কিন্তু রীতিমতো তারমানে রেগুলেশনের একটা বড় রকমের জায়গা কিন্তু হয় লাইসেন্সিং নয়তো প্রাইসটাকে রেগুলেট করতে পারা। মার্কেটটাকে আপনি যদি রেগুলেট করতে চান এবং ইফেক্টিভ যদি কনজ্যুমারের রাইটটাকে যদি আপনি এস্টাবলিশ করতে চান, এই দুইটি হচ্ছে মৌলিক জায়গা যেখানে আসলে বিইআরসি’র …