বেনাপোল বন্দরে আমদানি বন্ধ

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ইমপোর্ট জেনারেল মেনিফেস্ট (আইজিএম) অনলাইনে করায় যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন আমদানি বন্ধ রেখেছে। 

শনিবার সকাল থেকে বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখা অনলাইনে আইজিএম চালু করলে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস ও ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন দুপুর থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। দুপুর পর্যন্ত ভারত থেকে মাত্র ৭২টি পণ্যবোঝাই ভারতীয় ট্রাক বেনাপোল আসে।

রোববার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে আমদানি। তবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে।

এতে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় শত শত পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে।

ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, আইজিএম করার আগে কারপাস করতে হয়। সেখানে পণ্যের নাম, পরিমাণ, ট্রাকের নম্বর, চ্যাসিস নম্বর, ট্রাক চালক, হেলপারের নাম পরিচয় লিপিবদ্ধ করতে হয়। এরপর সেটা বাংলাদেশ কাস্টমসের কাছে পৌঁছালে তারা এন্ট্রি করেন। তারপর পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এখানে কোন ভুল হলে সেটা সংশোধন করতে এক থেকে দেড় মাস লেগে যায়। তবে অনলাইনে এন্ট্রির পর ভুল হলে সেটা কিভাবে সংশোধন হবে তা না জানানোয় ভারতীয় ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। সোমবার পেট্রাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বন্দর ব্যবহারকারীদের নিয়ে বৈঠকের কথা রয়েছে।

পেট্রাপোল এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস জানান, কারপাসে ট্রাক নম্বর বা চালক হেলপারের নাম লেখা থাকবে। কোন সমস্যার হলে (ট্রাক বিকল, দুর্ঘটনা, চালক, হেলপার অসুস্থ) সেই ট্রাক বা চালক হেলপার না এলে সেটা কিভাবে সংশোধন হবে? এসব কারণে আমাদের ট্রাক চালকরা বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে যেতে আগ্রহী নয়। তারপরও বেনাপোল বন্দরে অনলাইন চালু হয়নি। কারপাস ও আইজিএম মূলত দু’দেশের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের করার কথা। দ্রুত কাজ সম্পন্নের জন্য এ কাজটি করে থাকি। এখানে দু‘একটি ভুল হতে পারে। সেটা সংশোধন করতে এক মাসেরও বেশি সময় ও অর্থ খরচ করতে হয়।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে ভারতীয় সিঅ্যন্ডএফ এজেন্টের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ফলপ্রসু আলোচনা হলে আমদানি পুনরায় চালু হবে।

বেনাপোল স্থল বন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল জানান, আইজিএম সমস্যা নিয়ে বেনাপোল বন্দরে রোববার সকাল থেকে কোন পণ্য নিয়ে ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ করেনি। আলোচনা করে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।