ব্যাংকের ন্যূনতম বেতন, সার্কুলারের শুনানি বৃহস্পতিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:

বেসরকারি ব্যাংকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন-ভাতা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া সার্কুলারের বৈধতা প্রশ্নে রুল শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতের রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাছুম ও সাইফুর রহমান রাহী। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও তানজীব উল আলম। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি।

এদিন আইনজীবী ফিদা এম কামাল বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে হলফনামা আকারে জবাব (এফিডেভিট ইন অপজিশন) দাখিল করেন।

এ সময় আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, যেসব ব্যাংক নতুন কাঠামোতে বেতন দিচ্ছে না, এই রুল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রতি কঠোর (হার্শ) হবেন না।

একজন বিনিয়োগকারী ফরহাদ বিন হোসেনের দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে অর্থসচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এছাড়া এ বিষয়ে শুনানির জন্য চারজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে আইনি সহয়তাকারী) নিয়োগ দেন হাইকোর্ট। চার অ্যামিকাস কিউরি হলেন—অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও প্রবীর নিয়োগী।

গত ২০ জানুয়ারি একটি সার্কুলার জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

সেখানে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন ভাতা নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্ধারিত বেতন চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে কার্যকর করতে বলা হয়। পরে ১ ফেব্রুয়ারি সংশোধন করে আরও একটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

পরে আইনজীবী সাইফুর রহমান রাহী জানান, গত ২০ জানুয়ারি এবং পরে সংশোধন করে ১ ফেব্রুয়ারি জারি করা বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া সার্কুলার চ্যালেঞ্জ করে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রিট দায়ের করা হয়।