মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বিডি থাই ফুডের

শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর পর টানা ১০ কার্যদিবস দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছে বিডি থাই ফুড। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এই দাম বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।

এজন্য মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিডি থাই ফুডের শেয়ারের দাম বাড়ার পেছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ার কারণ জানাতে ডিএসই থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি নোটিশ পাঠানো হয়। জবাবে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে তার জন্য কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য গত বছরের অক্টোবরে কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেয়ে বিডি থাই ফুড আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে। এজন্য ১০ টাকা করে কোম্পানিটি ১ কোটি ৫০ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যু করে।

বিনিয়োগকারীদের আইপিওর শেয়ার বুঝিয়ে দেওয়ার পর চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি থেকে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে। লেনদেনের প্রথমদিন থেকেই প্রতিদিন ১০ শতাংশ করে বাড়ছে কোম্পানিটির শেয়ার। প্রতিদিন দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করলেও বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। আগের ১০ কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারও কোম্পানিটির শেয়ার দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে।

এরই মধ্যে ১০ টাকা দামের শেয়ার ৩০ টাকা ৯০ পয়সায় উঠে এসেছে। এ দামে ৪৬ লাখ ২৫ হাজার ৩১৯টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসলেও, বিক্রয় আদেশের ঘর খালি পড়ে আছে।

এদিকে আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলন করা অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, দালান নির্মাণ, ভূমি উন্নয়ন এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

আইপিও অনুমোদন দেওয়ার সময় বিএসইসি থেকে শর্তজুড়ে দেওয়া হয়, কোম্পানিটি আইপিওতে যে শেয়ার ছাড়বে তার ১৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের মধ্যে ইস্যু করা যাবে। কর্মীদের মধ্যে ইস্যু করা শেয়ার দুই বছর লক-ইন থাকবে।

কোম্পানিটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ মূলধনের শেয়ারধারীরা লেনদেন শুরুর ৩ বছর পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন না। এছাড়া কোম্পানির ইপিএস ১ টাকা না হওয়া পর্যন্ত উদ্যোক্তা পরিচালকেরা লভ্যাংশ নিতে পারবেন না বলেও আইপিওর শর্ত দেওয়া হয়।