শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বৈঠকে বসেছে অর্থ মন্ত্রণালয়

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:

শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বৈঠকে বসেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।  দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে্তেএ বৈঠক চলছে। দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেওয়ায় টানা আট কার্যদিবস দরপতন হয় শেয়ারবাজারে।সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের বড় উত্থান প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেইসঙ্গে লেনদেনে বেশভালো গতি দেখা যাচ্ছে।

প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৭০ পয়েন্ট বেড়েছে। আর লেনদেন হয়েছে সাড়ে তিনশ কোটি টাকার বেশি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে সূচকের ঊর্ধ্বমূখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেইসঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট।

এদিকে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে দেখা দেওয়া মতবিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে বসেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

আর এ বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়। এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের প্রথম মিনিটে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২২ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

সময়ের সঙ্গে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেড়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সকাল ১১টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের তুলনায় ৭০ পয়েন্টে বেড়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ২৩ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়েছে।

এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪টির। আর ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩৭৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫৬ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৪৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৮টির, কমেছে ২৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির।

এদিকে কয়েক মাস ধরে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মধ্যো বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেওয়ায় টানা আট কার্যদিবস দরপতন হয় শেয়ারবাজারে।

এ পরিস্থিতিতে ৩০ নভেম্বর বৈঠকে বসে এই দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বৈঠক শেষে বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারের অদাবিকৃত ডিভিডেন্ড নিয়ে গঠিত স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ব্যাপারে একমত বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বিষয়টি নিয়ে কিছু আইনগত অস্পষ্টতা রয়েছে।