জানায়ারিতেই গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করবে আলেশা মার্ট

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:

জানুয়ারির ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্ট। দেরিতে হলেও সবার টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদার।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে আলেশা মার্টের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে তিনি এ কথা বলেন।

মঞ্জুরুল আলম বলেন, আলেশা মার্টের জন্য আমার সবগুলো প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আপনাদের টাকা দেওয়া বা আলেশা মার্টের ঋণ পরিশোধ করা আমার জন্য ফরজ হয়ে গেছে। এটা আমাকে করতেই হবে। না হলে আমার অন্য প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার কর্মচারী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এখানে যে লায়াবেলেটিস (দায়বদ্ধতা), তারচেয়ে বেশি আমার ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। আপনারা ধৈর্য ধরেন, এর বিকল্প কিছু নেই।

তিনি বলেন, আলেশা মার্ট খুব বড় আকারে শুরু করেছিল। ক্যাম্পেইন শেষে যথাসময়ে ডেলিভারি করার রেকর্ড আমাদের আছে। জুন থেকে সমস্যা শুরু হয়েছে ই-কমার্স সেক্টরে। এখন জানুয়ারি মাস চলছে, আমরা ৬-৭ মাস সমস্যার মধ্যে ছিলাম। জানুয়ারির ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এসএমসের মাধ্যমে জানিয়ে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

সরকারি কাজ দেরি হওয়ায় অনেক সময় কিছু করার থাকে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এস্ক্রো অ্যাকাউন্টের টাকা পেতে অনেক সময় লাগবে, এটা নিয়ে সরকার চেষ্টা করছে। কিছু ই-কমার্সের জন্য আলেশা মার্ট সাফার করছে।

অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান তার গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারবে না বলে মনে করেন আলেশা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, আমি যেটুকু বুঝি অনেক ই-কমার্সে আটকে থাকা টাকা পাবলিক কখনই পাবে না। কোনো ই-কমার্সের ১০ শতাংশ, কোনটার ৩০ শতাংশ গ্রাহক হয়তো টাকা পাবে। আমি যেটুকু বুঝি সেগুলো পেতেও বছর লেগে যাবে। আর কোনো ই-কমার্সের গ্রাহক বাকি জীবনেও কোনো টাকা ফেরত পাবে না। একমাত্র আলেশা মার্টই দেরিতে হলেও টাকা দেবে।

তিনি বলেন, আমরা অচিরেই অফিস খুলে দেবো। তারপর কী হবে সেটাও আমরা জানি, কিন্তু অফিস বন্ধ রাখবো না। আমার কর্মচারীর গায়ে হাত তোলা হয়েছে, তাদের বাসায় গিয়ে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। আমার কর্মচারীদের ওপর হামলা, হুমকি আমি সহ্য করবো না। আপনারা ধৈর্য ধরেন, টাকা পাবেন। এগুলো আমি সহ্য করবো না। প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেবো। এই মাসের মধ্যে আপনাদের অনেকের টাকাই পরিশোধ করা হবে, পারলে পুরোটাই দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আগামী দু/একদিনের মধ্যে কিছু ইমার্জেন্সি নাম্বার দিয়ে দেবো। সরাসরি আমার সঙ্গে কথা বলবেন আপনারা। আমার কর্মচারীরা যদি চলে যায় তাহলে কারোর টাকা দিতে পারবো না।