তেল-এলপিজির মূল্যবৃদ্ধি জীবনযাত্রাকে ঝুঁকিতে ফেলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢকা:

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, তেল-এলপিজির মূল্যবৃদ্ধি জীবনযাত্রাকে ঝুঁকিতে ফেলছে। তেল বিপণন কোম্পানি প্রায় চার হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। কারণ সে সময় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেশ কম ছিল।

রোববার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন জনতার মঞ্চ ‌‘জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী সরকারি সিদ্ধান্ত ডিজেল, কেরোসিন ও এলপিজির মূল্যবৃদ্ধির’ প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, তেল পাচার হয়ে যাওয়া অজুহাত মাত্র। মনে রাখতে হবে তেল পকেটে করে পাচার করা যায় না। আর তেল পাচার জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন নেওয়া পুলিশ, বিজিবি কেন পাচার রোধ করতে পারে না? বাজারে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির সময়ে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি আগুনে ঘি ঢালার শামিল। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি মানুষের ওপর নতুন নিপীড়ন এবং তা অত্যাচারের শামিল।

গোলাম মোস্তফা বলেন, সরকার সম্প্রীতি সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণের জীবনযাত্রাকে সীমাহীন সংকটের মুখে ফেলেছে। বৈশ্বিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির দোহাই দিয়ে পরিবহন ও শিল্পখাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পেট্রোলিয়াম পণ্য ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ২৩ শতাংশ বাড়িয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এরই মধ্যে বিপুল জনগোষ্ঠী কর্মসংস্থান হারিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ে চলে গেছে। এ অবস্থায় নতুন করে মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি হলে জনগণের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। এটা গ্রামীণ কৃষিনির্ভর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি সীমিত আয়ের শহুরে মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনযাত্রাকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলবে।

মুহম্মদ আতাউল্লাহ খান বলেন, এমনিতেই চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। এমতাবস্থায় ডিজেল-কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ১২ কেজি এলপিজির দাম মাত্র ৫ মাসের ব্যবধানে বাড়ানো হয়েছে ৫৪ টাকা। এটা মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে জনগণের জীবন যাত্রাকে আরো বিপন্ন করে তুলবে।

মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে মূল্য সমন্বয়ের নামে ডিজেল-কেরোসিন ও এলপিজির দাম বাড়ানোর কথা বলছে গণবিরোধী সরকার। অথচ যখন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমে তখন মূল্য সমন্বয় করে দাম কমানো হয় না। বরং সরকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা মুনাফার নামে লুটপাটে ব্যস্ত থাকেন।