রেকর্ড গড়েও পূরণ হয়নি রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। তবে অর্থবছর শেষে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের। অর্থাৎ লক্ষ্যের চেয়ে রপ্তানি কম হয়েছে ৪ দশমিক ২১ শতাংশ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সোমবার রপ্তানি আয়ের এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

যদিও রপ্তানির এই আয় তার আগের অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। আর এক অর্থবছরে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

ডলার-সংকট নিয়ে বছরখানেক ধরেই দেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে। রপ্তানির ৩০ ক্যাটাগরির পণ্যের মধ্যে ১৫টিতেই প্রবৃদ্ধি হয়েছে গত অর্থবছরে।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিদায়ী অর্থবছরে তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক পণ্য ও চামড়াবিহীন জুতার রপ্তানি বেড়েছে।

এছাড়া ম্যানুফ্যাকচারড কমোডিটিস, কাঠ, পেপার, প্রিন্টেড ম্যাটেরিলায়লস, কটন, ম্যান মেইড ফাইবার, ক্যাপ, পরচুলা, সিরামিক, বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস, শিপ ও অন্যান্য এমএফডি পণ্যের রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

অন্যদিকে, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলারের তৈরিপোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি। নিট পোশাকে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ, আর ওভেন পোশাকে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

তৈরি পোশাকের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি হয়েছে ১২২ কোটি ডলারের। এ ক্ষেত্রে রপ্তানি কমেছে পৌণে ২ শতাংশ।