মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অফিসে যেতে হচ্ছে

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে যানবাহন পেলেও বাধ্য হয়ে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।

আজ সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অফিসগামী যাত্রীদের এই দুরাবস্থা চোখে পড়ে। ভোগান্তি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গণপরিবহন খুলে দেয়ার আর্জি জানিয়েছেন তারা।

প্রতিদিন মিরপুর থেকে উত্তরায় অফিসের কাজে আসা যাওয়া করেন আবদুর রহিম। প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় পণ্য নিয়ে যেতে হয় তাকে। ব্যক্তিগত পরিবহন না থাকায় লকডাউনে তার ভরসা সিএনজি অটোরিকশা, ভাড়ার মোটরসাইকেল কিংবা গাড়ি। চলমান লকডাউনের আগে যাতায়াত বাবদ প্রতিদিন তার খরচ হতো ১০০ টাকা। এখন সেই খরচ বেড়েছে চার থেকে পাঁচগুণ।

প্রতিদিন চার থেকে পাঁচশ টাকা শুধু যাতায়াতেই খরচ হচ্ছে। অফিস থেকে সামান্য কিছু টাকা যাতায়াত ভাতা দিচ্ছে। তবে অফিসের কাজে ঢাকার বাইরে গাজীপুর, সাভারেও যেতে হচ্ছে। এতে নিজের পকেট থেকেই অনেক টাকা চলে যাচ্ছে তাছাড়া এখন আমরা অসহায়। কিছু করার নেই। গাড়ি ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি না , জানান আবদুর রহিম।

বেসরকারি অফিসের কর্মচারী সাইদুল বলেন, তিনি মিরপুর মানিকদী থেকে বনানী পর্যন্ত হেঁটে এসেছেন এবং তার গন্তব্য মহাখালী।

তিনি আরও বলেন, বনানী ১১ থেকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে যাব মোটরসাইকেলে। কিন্তু ভাড়া ২০০ টাকা বলছে। ১০০ টাকা বলেছি, তাও যেতে রাজি নয়। এইভাবে অন্তত ১০ গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে কর্মক্ষেত্রে যেতে হচ্ছে।’

অফিসগামী যাত্রী মেহেদী হাসান দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছিলেন ভাড়ার মোটরসাইকেলের জন্য। তিনি বলেন, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নাই। অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি সিএনজি বা ভাড়ায় মোটরসাইকেল পাচ্ছি না। মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অফিসে যেতে হচ্ছে। যেখানে ৫০ টাকা ভাড়া সেখানে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার নিচে যাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া শেয়ার করে সিএনজি কিংবা ব্যক্তিগত গাড়িতে যেতে হচ্ছে। সেখানে নিরাপত্তার একটা ব্যাপার তো রয়েছেই। তবে আমাদের কিছু করার নেই। গাড়ির নাম্বার প্লেট দেখে সেটা মনে রেখে কিংবা প্রিয়জনকে মেসেজ করে এখন চলতে হচ্ছে।’