‘সরকারের ব্যর্থতা পরোক্ষভাবে ভোক্তার উপরে চলে আসে’

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারের ব্যর্থতা বা সরকারের কোম্পানির ব্যর্থতার দায়ভার পরোক্ষভাবে ভোক্তাদের উপরে চলে আসে। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রেগুলেটরি কমিশনের কাজ করা উচিত।

কনজুমার আসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কর্তৃক আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন আলোচকরা।

ক্যাব এর প্রচার সম্পাদক মো. সাজেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এর আইনকে কিভাবে আরও জনবান্ধব করা যায় এবং বর্তমান অবস্থা কেমন আছে’ এসব বিষয় নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনায় যুক্ত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি কনসালটেন্ট খন্দকার সালেক সুফি, এনার্জি বিশেষজ্ঞ এ্যাডভোকেট ড. জাহেদ ইকবাল।

খন্দকার সালেক সুফি বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কে জনবান্ধব এবং উন্নত করতে হলে প্রধান দায়িত্ব থাকা উচিত এনার্জি অডিটিং। এনার্জি সেক্টরের সবাই বার্কের লাইসেন্সি। অন্যান্য কমিশনগুলো তাদের লাইসেন্সির জন্য নিয়মিত রিপোর্ট করে থাকে। বার্কের অন্তর্ভুক্ত লাইসেন্সিরাও যদি একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর পর রিপোর্ট দেয় তাহলে সেসব প্রতিষ্ঠান সম্পর্তে জানা যাবে। এসবের উপর বার্কের কন্ট্রোল থাকলে এনার্জির মূল্য সম্পর্কে জানা যেত। যা ভোক্তাদের উপর গিয়ে পড়ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেক ভুলের জন্য সরকারকে গোচ্ছা দিতে হয়। যেমন পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্টের ধারণ ক্ষমতা ১৩২০ মেগাওয়াট। কিন্তু এখন এই পাওয়ার প্ল্যান্ট ৬০০ থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট সরবরাহ করতে পারছে। নেটওয়ার্ক ডেভেলপ না করার জন্য এই সমস্যা হয়েছে। এই ব্যর্থতার জন্য দায়ি কে? এটি সরকারের ব্যর্থতা, সরকারী কোম্পানিগুলোর ব্যর্থতা। এবং উৎপাদন সঠিকভাবে না হওয়ার জন্য সরকারকে গোচ্ছা দিতে হচ্ছে। একই ভাবে আমাদের ২৫ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে প্রায় সাত হাজার হলো লিকুয়েট ফুয়েল, (ডিজেল এবং ফার্নেস ওয়েল)।

তিনি বলেন, আমাদের গ্যাসের উন্নতি করতে না পারায়, গ্যাস ভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোকে বন্ধ রেখে লিকুয়েট পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোকে চালাতে হচ্ছে। কিন্তু লিকুয়েট পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোও অধিকাংশ সময় না চালানোর কারণে তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ গোচ্ছা দিতে হচ্ছে। এটা সরকারের ব্যর্থতা, কোম্পানির ব্যর্থতা। পরোক্ষভাবে এটার দায়ভার ভোক্তার উপরেও চলে আসছে। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রেগুলেটরি কমিশনের কাজ করা উচিত।

এনার্জি বিশেষজ্ঞ এ্যাডভোকেট ড. জাহেদ ইকবাল বলেন, বার্ক মন্ত্রণালয়ের অধিনে মন্ত্রণালয়ের প্রভাবে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় গণ শুনানি করেও কোন লাভ হবে না। গণ শুনানিতে ভোক্তাদের ডাকা হচ্ছে কিন্তু শেষ পযন্ত তাদের বক্তব্য গ্রহণ করা হচ্ছে না। তবে ভোক্তাদের কথা গ্রহণ করতে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকা দরকার। কিন্তু সেটা আমরা দেখছি না। তবে এটি করা দরকার।

আরইউ

বিস্তারিত ভিডিও তে দেখুন..