জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছি: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বিদ্যুৎ খাতে এন্টারপ্রাইজ রিসার্স প্লানিং (ইআরপি) বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ অর্জন করেছে।

বিদ্যুৎ খাতে দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং সর্বোপরি গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নে এআরপি বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ বিভাগ এ পুরস্কার অর্জন করেছে। 

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি। বক্তব্যে তিনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি তুলে ধরেন। 

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো: হাবিবুর রহমানের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।

 নসরুল হামিদ এ প্রসঙ্গে বলেন, সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছি। ইআরপি বাস্তবায়নের ফলে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ব্যয় হ্রাস, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, পারফরমেন্স পর্যালোচনা, তথ্যের অবাধ বিনিময়, তথ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সরকারি পর্যায়ে বিদ্যুৎ বিভাগেই প্রথমবারের মত সফলভাবে ইআরপি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও উৎসাহের সঞ্চার করবে।

 তিনি আরো বলেন, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা চিহ্নিত করতে এই প্রযুক্তি কার্যকরি অবদান রাখবে। ইতোপূর্বে আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এবং মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করায় ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২’ও অর্জন করেছি।  

দক্ষতা উন্নয়ন, অটোমেশন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিতকরণ, বাজেট ও ব্যয় ব্যবস্থাপনায় গতিসঞ্চার করা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, জনগণের সাধ্যের মধ্যে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা তথা গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং এর আওতাধীন ১৫টি সংস্থায় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ইআরপি কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। 

সরকারি পর্যায়ে প্রথমবারের মত এ উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রাথমিকভাবে নানা জটিলতা দেখা দিলেও সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক প্রয়াসের ফলে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চারটি মডিউল বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়। এ চারটি মডিউলের  বিশেষ দিকগুলো হলো-হিউম্যান রিসোর্স এন্ড পে রোল, ফিক্সড এ্যাসেট, প্রকিউরমেন্ট ও ফাইন্যান্স।