তুরাগে অবৈধ গ্যাস লাইনের সঙ্গে বৈধ সংযোগও বিচ্ছিন্ন

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: রাজধানীর তুরাগের বিভিন্ন এলাকায় তিতাসের অবৈধ গ্যাস লাইনের সঙ্গে বৈধ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন বৈধ সংযোগের গ্রাহকরা।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ডিয়াবাড়ি, তারার টেক, নলভোগ, ফুলবাড়িয়া, নয়ানগর, শুক্রভাঙা, কালিয়ারটেক, বামনারটেক এলাকায় অবৈধ গ্যাস লাইনের সঙ্গে বৈধ গ্যাস সংযোগ এবং গ্যাসের মূল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এতে করে ওইসব এলাকাসহ আশপাশের হাজারো বৈধ গ্রাহক গ্যাস পাচ্ছেন না। সে কারণে প্রায় ২০ হাজার পরিবার বিপাকে পড়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিনসেড বাড়ি, সেমিপাকা বাড়ি, বহুতল বাড়িতেও গ্যাস নেই। এমনকী হোটেলেও গ্যাস নেই, আর এতে চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা।

নলভোগ, ডিয়াবাড়ি, নয়ানগর এলাকার একাধিক ভাড়াটিয়ারা বলছেন, আমরা বছরের পর বছর এখানে ভাড়া আছি, কখনো জানতেই পারিনি আমরা মাসিক বিল পরিশোধ করে যে গ্যাস ব্যবহার করছি তা বৈধ না অবৈধ?

অনেক বাড়িওয়ালা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বৈধ গ্যাস সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় দৌঁড়-ঝাঁপ করেও কোন সমাধান পাচ্ছি না। এছাড়া একদিকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং, তার ওপরে গ্যাস সংকট। আমাদের ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে ও বয়োবৃদ্ধ মানুষগুলো নিয়ে কোথায় যাব, কী করবো।

ডিয়াবাড়ি ও তারারটেক এলাকার বাড়ির মালিক আওয়ামী লীগ নেতা মো, মুনসুর আলী, আব্দুল জব্বার ও নাসির জানান, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বৈধ ও অবৈধ যাচাই-বাছাই করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হতো না। আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে অতীব কষ্টে মানবেতন জীবনযাপন করছি। বাসায় রান্নাবান্না করতে পারছি না বিধায় হোটেল থেকে খাবার কিনে খাচ্ছি। অনেক সময় শুকনা খাবার খেয়ে জীবন কেনো রকমে কাটাচ্ছি। এ নিয়ে আমরা স্হানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাবিব হাসান এবং ডিএনসিসির ৫৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বীর মুক্তিযোদ্বা আলহাজ্ব মো. নাসির উদ্দিন হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমরা তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি, তারা বলছে- আমরা বিষয়টি দেখছি।

এদিকে, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নয়ানগর ঈদগাঁহ প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন স্হানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীরা।