‘নতুন করে ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি মরার উপর খাড়ার ঘা’

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: গতকাল ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গতকাল বেশ কিছু ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি করেছে, যা সাধারণ নাগরিকদের মরার উপর খাড়ার ঘা বলে মনে করে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ।

রোববার (১৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কেবলমাত্র ১১৭ টি জেনেরিক ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে। বাকি সব ঔষুধের মূল্য ঔষধ উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকরা করে থাকে ‌ এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জীবন বাঁচানোর ওষুধের মূল্য কত কয়েক বছরে দফায় দফায় বাড়িয়ে দিয়েছে ওষুধ উৎপাদনকারীরা।

এরমধ্যে গত ৩০ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ওষুধের মূল্য নির্ধারণ কমিটির ৫৮তম সভায় নিত্য প্রয়োজনীয় প্যারাসিটামল সহ বেশ কিছু ওষুধের পুনঃনির্ধারিত দাম অনুমোদন করা হয়। এর আগে ২০১৫ সালে কয়েকটি ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।

প্যারাসিটামলের ১০টি জেনেরিকের দাম বেড়েছে। মেট্রোনিডাজল ৬টি জেনেরিকের দাম বেড়েছে। মেট্রোনিডাজল ২০০ এমজি ট্যাবলেট কোটেডের আগে দাম ছিল ৬০ পয়সা, যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে এক টাকা। এমোক্সিসিলিন বিপি ৫০০ এমজি ইনজেকশনের আগের দাম ছিল ২৪ টাকা ১০ পয়সা, বেড়ে হয়েছে ৫৫ টাকা।

এছাড়া জাইলোমেট্রোজালিন, প্রোকলেপেরাজিন, ডায়াজেপাম, মিথাইলডোপা, ফ্রুসেমাইড, ফেনোবারাবিটাল, ওআরএস, লিডোকেইন, ফলিক এডিস, ক্লোরফেনিরামিন, বেনজাথিন বেনজিলপেনিসিলিন, এ্যসপিরিন ফেনোক্সিমিথাইল পেনিসিলিন, নরগেস্টেরেল, ফেরোস-এর দাম ৫০% থেকে ১০০% বেড়েছে।

মহিউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, বিকেল হলেই ওষুধের দোকানগুলিতে মানুষের লাইন লেগে যায়। অথচ কখনো কোন মনে হয় দোকানের লাইন ধরে ভোগ্য পণ্য কিনতে দেখা যায় না। এতেই প্রমাণিত হয় ওষুধের কি পরিমাণ চাহিদা রয়েছে।

বর্তমানে এমন কোন নাগরিক পাওয়া যাবে না যে নাগরিক দৈনিক ২০ টাকার ঔষধ খায় না। প্রত্যেক পরিবারের গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার ঔষধ লাগে প্রতি মাসে। সেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় ঔষধের মূল্য এভাবে বিক্রি করলে জীবনযাত্রার ব্যাপক প্রভাব পড়বে। তাছাড়া মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় ভোক্তা প্রতিনিধিদের রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ তা করেনা।

ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতেই অসৎ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ভোক্তা প্রতিনিধি বা নাগরিক প্রতিনিধিদের পাশ কাটিয়ে অগনতান্ত্রিক উপায়ে মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা এই মূল্যবৃদ্ধি সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারি না। নিয়ন্ত্রণ কমিশনের উচিত হবে করানোর শুনানির মাধ্যমে বর্তমান দেশের প্রেক্ষাপট ও আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থা বিচার বিশ্লেষণ করে মূল্য নির্ধারণ করার।