শিক্ষার্থীদের টিকাদানে ধীরগতির কারণ জানাল স্বাস্থ্য অধিদফতর

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানা পরীক্ষা চলমান থাকায় শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদানে কিছুটা ধীরগতি এসেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। বুধবার দুপুরে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এ তথ্য জানান।

নাজমুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে স্কুলে তাদের উপস্থিতির ওপর। আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। তবে, স্কুলগুলোতে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা চলছে। এ কারণে গতি একটু কমেছে। তাছাড়া স্কুলে সপ্তাহের প্রতিদিনই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয় না, সে কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কম থাকে।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তারা যদি স্কুলগুলোকে আরেকটু গুছিয়ে নিতে পারে, তাহলে ধীরগতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

ফাইজারের টিকা প্রসঙ্গে ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, বিশেষ ধরনের তাপমাত্রা রক্ষা করেই ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ করতে হয়। এ মুহূর্তে চাইলেই দেশের ৬৪ জেলায় ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যবহার উপযোগী করে জেলায় জেলায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কাজেই এখানে আমাদের কাজ চলছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি আরও উন্নত করা যাবে।

বিদেশযাত্রীদের টিকা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এ মুখপাত্র বলেন, বিদেশ থেকে যারা বাংলাদেশে আসবেন, তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন আছে। টিকা নিয়ে আসতে হবে, সেইসঙ্গে টিকার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। অবশ্যই তাদের আরটি পিসিআর নেগেটিভ সনদটিও দেখাতে হবে। যদি কেউ টিকা না নেন, এবং আরটি পিসিআর সনদ না থাকে, তাহলে তাদের জন্য যথানিয়মে কোয়ারেন্টাইনসহ অন্যান্য যেসব নিয়ম আছে সেগুলো মানতে হবে। নিয়মটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সচল আছে এবং কর্তৃপক্ষ সক্রিয়ভাবে এ নিয়ে কাজ করছে।

দেশে এ পর্যন্ত ২৩ লাখ ১৪ হাজার ৭৫০ স্কুলশিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে দুই লাখ ৯০ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে মঙ্গলবার দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৫৮ হাজার ৯৮৩ ডোজ টিকা।

শিক্ষার্থীসহ এ পর্যন্ত দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ছয় কোটি ৯৪ লাখ ২৯ হাজার ৮০১ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন চার কোটি ৭৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪২৫ জন।

গত ১ নভেম্বর রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে শিক্ষার্থীদের টিকাদানে ধীরগতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে।