১২ সিটি করপোরেশনে শিশুদের করোনার টিকা দেয়া হবে

ভোক্তাকন্ঠ রিপোর্ট: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী ২৫ আগস্ট থেকে সারা দেশে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের টিকা দান কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথম দিকে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে ১১ আগস্ট পরীক্ষামূলকভাবে রাজধানীতে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলম বলেন, ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের এই টিকা কার্যক্রম সারা দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় হবে। টিকার প্রথম রাউন্ড চলবে ২৫ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ১২ দিন। এরপর দ্বিতীয় রাউন্ড (দ্বিতীয় ডোজ কার্যক্রম) হবে প্রথম রাউন্ডের দুই মাস পর।

তিনি আরও বলেন, শিশুদের জন্য ফাইজারের বিশেষ ব্যবস্থায় তৈরি করা টিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে আমাদের হাতে আছে। আমাদের টিকা কর্মীরাও সারা দেশে প্রস্তুত রয়েছেন।

শর্ত ও নির্দেশনাবলী

১. শিক্ষার্থীদের বয়সসীমা হবে ৫ বছর থেকে ১১ বছর (১১ বছর ৩৬৪ দিন);

২. শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ করতে হলে অবশ্যই সুরক্ষা অ্যাপ/সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধিত হতে হবে;

৩. শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর অবশ্যই ১৭ ডিজিটের হতে হবে;

৪. যে সকল শিক্ষার্থীর ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর নেই তাদের অবশ্যই ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন করিয়ে নিতে হবে; সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অভিভাবকদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে;

৫. বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য সুরক্ষা অ্যাপ/সুরক্ষা ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক নয়;

৬. বিদেশি পাসপোর্টধারী শিক্ষার্থীরা সুরক্ষা অ্যাপ/সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়ার পূর্বে স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ধারিত “‌এক্সেল ছকে” নির্ধারিত ফরম্যাটে [email protected] ঠিকানায় তথ্য প্রেরণ করবে;

৭. প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যে তালিকা এমনভাবে প্রণয়ন করবে যাতে কোনও শিক্ষার্থী বাদ না পড়ে;

৮. প্রতিটি প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় প্রচারণা ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদেরকে নিয়মিত এ কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করবে;

৯. প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্নে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্কাউট/গার্ল গাইডস/রোভার স্কাউট/গার্ল ইন রোভার/রেডক্রিসেন্ট/বিএনসিসি সদস্যদের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নিয়োজিত করবে। যেসব প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের দল নেই সেগুলোতে নিজস্ব শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে:

১০. প্রতিটি প্রতিষ্ঠান টিকাদান কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষককে দায়িত্ব প্রদান করবে;

১১. নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন কেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে;

১২. টিকাদান কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা বা পরামর্শের জন্য সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পরিচালক /উপপরিচালক/জেলা শিক্ষা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা যোগাযোগ রক্ষা করবেন।