কারওয়ান বাজারে ৩ পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক : বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি, ক্রয়-বিক্রয়ের পাকা রশিদ দেখাতে না পারা ও দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের তিন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার সকালে কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বাজারে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চালানো অভিযানে এই জরিমানা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস সালাম।

এ সময় বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি ও ক্রয়-বিক্রয়ের পাকা রশিদ দেখাতে না পারার অপরাধে কুতুবপুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মো. লুৎফর রহমান ও আজাদ নামের দুই বিক্রেতাকে ১৫ হাজার করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে বায়তুল আমিন দোকানের মো. হাবিব মণ্ডলকে আরো ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জরিমানা পাওয়া আজাদ বলেন, পাকা রশিদ রাখার বিষয়টি আমরা জানতাম না। মহাজনরা আমাদের জানাননি। এটা আমাদের ভুল হয়েছে। এখন থেকে আমরা পাকা রশিদ রাখবো। পাকা রশিদ ছাড়া পেঁয়াজ কেনা-বেচা করবো না।

অভিযান শেষে আব্দুস সালাম বলেন, পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আজ ঢাকা মহানগরে ভোক্তা অধিদপ্তরের তিনটি টিম কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে আমি কারওয়ান বাজারে অভিযান পরিচালনা করলাম। এখানে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে দেখলাম, তারা পেঁয়াজ কোথা থেকে নিয়ে আসছেন, কোথায় বিক্রি করছেন এ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করছেন না। মূল্য তালিকাও দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করছেন না। এজন্য তিন জন ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার করে মোট ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, যখন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলো, তখন কোনো লেবার খরচ বাড়েনি। তারপরও অতি মুনাফার লোভে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের আমরা মনিটরিং করছি এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ সময় তিনি আগামী পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। সরবরাহও বেড়েছে। আশা করি বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।