চার্জার ফ্যানে হরিলুট, ব্যবস্থা নিচ্ছে ভোক্তা অধিদপ্তর

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: সারাদেশে লোডশেডিং এর প্রভাব পড়ার পর থেকে বাড়তে শুরু করেছে চার্জার ফ্যান, লাইট ও আইপিএসের দাম। আমদানি করা এসব পণ্যের মোড়কে বিক্রয় মূল্য লেখা না থাকায় নিজেদের ইচ্ছেমত দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

দাম বৃদ্ধির পেছনে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেও এসব চার্জার ফ্যান, লাইট আমদানি করা হয়েছে আরও দুই বছর আগে, ২০১৯ সালে।  

এসব অসাধু, সুবিধাভোগী, অতিমুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। নিয়মিত বাজার তদারকির পাশাপাশি ভোক্তা স্বার্থবিরোধী অপরাধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করছে অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার রাজধানীর নবাবপুর এবং মিডফোর্ড রোড, ইমামগঞ্জ এলাকায় তদারকি করেন ভোক্তা কর্মকর্তারা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল এবং ফাহমিনা আক্তার।

অভিযানের বিষয়ে আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ‘Mejab kingshan Model: ME-154p চার্জার ফ্যান গত ০৫ জুলাই ৩১০০ টাকা বিক্রি করা হয়েছে। অথচ আজ (২৬ জুলাই) সেই দাম বাড়িয়ে ৪৩০০ টাকায় বিক্রি করছে। মাত্র ২০ দিনে ১২০০ টাকা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যদি পাইকারী দোকানেই এতো দাম বাড়ে তাহলে খুচরা দোকানের পরিস্থিতি কেমন হবে?’

তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যানের দাম বাড়িয়ে বিক্রির অপরাধে মিজাব এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠানটিকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

পরে নবাবপুর রোডে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন ভোক্তা কর্মকর্তারা। এ সময় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দাম বৃদ্ধির বিষয়ে নানা যুক্তি তুলে ধরা হয়। 

তবে ভোক্তা কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসায়ী ছোট হোক বা বড়, সকলকে আইন মেনে ব্যবসা করতে হবে। আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে ভোক্তাকে জিম্মি করলে তাকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভোক্তা অধিদপ্তরের কোন দ্বন্দ্ব নেই। আইন মেনে ব্যবসা করলে সেলুট জানানো হবে।