ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি করে প্রতারণা, ২ ফার্মেসিকে জরিমানা

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি না করার কথা ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক ইস্যু করা লাইসেন্সে স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও তা মানছে না নোয়াখালীর চৌমুহনীর অধিকাংশ ফার্মেসি। তাছাড়া অনুমোদনহীন ওষুধে ছেয়ে গেছে বেগমগঞ্জ উপজেলা। ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ। এমন নানা অভিযোগে সঠিক ওষুধ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সোমবার (৮ আগস্ট) বিকেলে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী চৌরাস্তার দুই ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এবং ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রির উদ্দেশে রাখায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার (৮ আগস্ট) বিকেলে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীর জননী ফার্মেসি ও শংকর ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা শাখা। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও বাণিজ্যিকভাবে নিষেধ থাকা সত্ত্বেও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে প্রতিষ্ঠান দুটি। তাই ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় জননী ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা ও শংকর ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, জরিমানার পাশাপাশি তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. শওকত আলী ও বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশরা।