চালের আড়ত, ভোজ্যতেলের দোকান ও ফিলিং স্টেশনে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান

করোনা মহামারীকালে চালের আড়ত, ভোজ্যতেলের দোকান ও ফিলিং স্টেশনে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান।

আজ ০২ আগস্ট ২০২১: কোভিড মহামারী এবং সরকারী বিধি-নিষেধের এ সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি এমপির পরামর্শে এবং সম্মানিত বাণিজ্য সচিব মহোদয়ের তত্বাবধানে বাজারে চাল, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় অভিযান পরিচালিত হয়।

এই অভিযানে চাল, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মূল্য যৌক্তিক ও স্থিতিশীল রাখতে এবং ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে সতর্ক করে অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনাকারী টিম।

এছাড়া বাজারে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য হ্যান্ড মাইকে সচেতনতামূলক প্রচার করা হয়। ঢাকা মহানগরীর যাত্রাবাড়ী ও মালিবাগ এলাকার বিভিন্ন চালের আড়ত, ভোজ্যতেলের দোকান, ফিলিং স্টেশন ও নিত্যপণ্যের বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব আব্দুল জব্বার মন্ডল, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব প্রনব কুমার প্রামানিক এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মাগফুর রহমান। এছাড়াও ঢাকার বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকগণের নেতৃত্বে বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

উক্ত অভিযানে ঢাকা মহানগরীর যাত্রাবাড়ী এলাকার বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে তেল পরিমাপ পরীক্ষা করা হয়। এসময় তেল পরিমাপে কারচুপি করার অপরাধে ২টি ফিলিং স্টেশনকে ১,০০,০০০/- জরিমানা করা হয় এবং অন্যান্য ফিলিং স্টেশনকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়। পাশাপাশি যাত্রাবাড়ী ও মালিবাগ বাজারে অবস্থিত বিভিন্ন চালের আড়ত ও ভোজ্যতেলের দোকানে ক্রয়-বিক্রয় রসিদ, পণ্যের মূল্যতালিকা পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ ও মূল্যতালিকা প্রদর্শনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।

ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনাকালে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, কাঁচা সবজিসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হয়। পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সাথে বিক্রয় রশিদের গরমিল, পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ, অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত ও ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে সারাদেশে ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫,৩৫,৫০০/- টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতকরণসহ স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাবলু কুমার সাহা কোভিড মাহামারীর এ সময়ে বাজারে চাল ও ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় রাখতে ব্যবসায়ীদের আহবান জানান। সেইসাথে আইন মেনে ও নৈতিকতা অনুসরণ করে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ ভোজ্যতেল ও শিশুখাদ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান