শিমের কেজি ২শ

শিমের কেজি ২শ টাকা। গাজর-টমেটোর কেজি দেড়শ ছুঁইছুঁই। এখনও একশর বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। সেঞ্চুরির পথে উস্তা-করলাও। আলু-পেঁপে বাদে কোনো সবজি নেই অর্ধশতকের নিচে। অর্থাৎ বেশিরভাগ সবজির দামই ৫০ টাকার উপরে।

ক্রেতারা বলছেন, সবজির বাজারে আগুন। কোনো কারণ ছাড়াই বাড়ছে সবজির দাম। খুচরা ব্যবসায়ীরাও বলছেন, সবজির দাম বাড়ায় বেচা-কেনা কম। তাই ব্যবসাও কমেছে।

রাজধানীর বাজারগুলোতে, কেজিপ্রতি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। অথচ বুধবারও শিমের কেজি ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। একইভাবে ৬০ কেজিতে বিক্রি হওয়া ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়। উস্তা বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকা কেজিতে আর করলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা কেজিতে। বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। কোনো কোনো বাজারে মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়ও। বেগুন প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, করলা ৭০ টাকায়, পটল, মূলা-শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে।

কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, টমেটো-গাজর প্রতি কেজি ১৪০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কাটা এক ফালি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্যে লালশাক, পুঁইশাক, লাউ ও কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি থেকে ৩০ টাকা আঁটিতে বিক্রি হচ্ছে।

দাম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন মধ্যবাড্ডা বাজারে সবজি কিনতে আসা হামিদুর রহমান। তিনি বলেন, সব সবজির দাম বাড়তি। তাই সবজির দাম বলারও সাহস পাচ্ছি না। পকেট ভর্তি টাকা নিয়েও ব্যাগ ভরা যায় না সবজি দিয়ে।

এ বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মুরাদ বলেন, কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখি শিম, টমেটো, করলা, পটলসহ বেশিরভাগ সবজির দাম বেড়েছে। তাই নতুন করে সবজি আনি নাই। আমিই শুধু না, এ বাজারের কেউই সবজি আনে নাই, সবাই মুলা আনছে বিক্রির জন্য।

রামপুরা কাঁচা বাজারে আসা ক্রেতা আলাওল বলেন, মাছ-মাংসসহ নিত্যপণ্যের কথা না হয় বাদই দিলাম। এখন সবজিও খেয়ে থাকতে পারব না। কারণ সবজির বাজারে আগুন লেগেছে। ৩০ টাকার সবজির দাম এখন ৫০ টাকা।

রামপুরা কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা এনায়েত উল্লাহ বলেন, এবার বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা ঢলের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের অনেক সবজি নষ্ট হয়েছে। তাই চাহিদার তুলনায় সবজির কম আসছে বাজারে। তাতে সবজির দাম বাড়ছে।

তিনি জানান, শীতের নতুন সবজি ওঠার আগ পর্যন্ত দাম এমন বেশিই থাকবে। খেতের শেষ ফসল এগুলো, তাই চাহিদার তুলনায় ঘাটতি আছে।