আগস্টে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে শিখন পদ্ধতির পাইলটিং

সুমন ইসলাম

আগামী আগস্টে সারাদেশের ৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘পরিমার্জিত জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষাক্রম’ এর পাইলটিং বা ট্রাই আউটের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালককে সম্প্রতি এনসিটিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।

গত ২০ এপ্রিল ডিপিই মহাপরিচালকে দেয়া এক চিঠিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, ‘অনুমোদিত জাতীয় শিক্ষাক্রম (প্রাথমিক)-২০২১ অনুযায়ী, পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষক সহায়িকার প্রণয়ন কাজ চলমান রয়েছে।’

ওই চিঠিতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিখন-শেখানো সামগ্রী প্রণয়ন ও বিতরণ সর্ম্পকিত পূণবিন্যাসকৃত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ৬৫টি বিদ্যালয়ের তালিকা ‘ অনুমোদন’ ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের জন্য ডিপিইতে পাঠানো হয়েছে।

ট্রাই আউটের জন্য মনোনীত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪০টি, কিন্ডার গার্টেন (কেজি) ১৫টি, ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ৮টি এবং উচ্চবিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে দুটি। এগুলোর মধ্যে শহর এলাকার ৩২টি এবং গ্রামাঞ্চল থেকে ৩৩টি প্রতিষ্ঠান বাছাই করা হয়েছে।

প্রাথমিকের নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. একেএম রিয়াজুল হাসান বলেছেন, ‘ট্রাই আউটের জন্য ইতোমধ্যে ৬৫টি বিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী আগস্টে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের ট্রাই আউট শুরু হবে।

এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট এক লাখ ৯ হাজার ৭৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সমস্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছ। এর মধ্যে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৮ হাজার ৯৫০টি কিন্ডার গার্টেন, ১৩ হাজার ২৬৫টি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এবং এক হাজার ৮৯৯টি উচ্চবিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।