ওমিক্রনের জন্য কাপড়ের মাস্ক যথেষ্ট নয় !!!!

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে দেশে দেশ। এরই মধ্যে ভাইরাসটি নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক গবেষণা। জানা গেছে, এটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মতো মারাত্মক নয়। তবে এটি খুব দ্রুত গতিছে ছড়াতে পারে। শুরু থেকেই বিজ্ঞানীরা করোনা মোকাবিলায় মাস্কের ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এখন নতুনভাবে প্রশ্ন উঠেছে একই ধরনের মাস্ক দিয়ে ওমিক্রন ঠেকানো যাবে কি না।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মাস্কের ব্যবহারে আমাদের অনেক কিছু পুনরায় বিবেচনা করা উচিত। বিশেষ করে কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে। শনিবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি মিলকেন ইনস্টিটিউট স্কুল অফ পাবলিক হেল্থের চিকিৎসা বিশ্লেষক ড. লিয়ানা ওয়েন বলেন, কাপড়ের মাস্ক দিয়ে করোনা মোকাবিলা সম্ভব নয়। বিশেষ করে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে। বিজ্ঞানী ও জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা কয়েক মাস ধরেই এটিই বলে আসছেন বলেও জানান তিনি।

ওয়েন বলেন, আমাদের কমপক্ষে একটি থ্রি-প্লাই সার্জিক্যাল মাস্ক পরতে হবে। যেটা ডিসপোস্যাবল মাস্ক নামেও পরিচিত। বেশিরভাগ ওষুধের দোকানে, কিছু মুদি ও খুচরা দোকানে এটি পাওয়া যায়। এর উপরে কাপড়ের মাস্ক পড়া যায়। শুধু কাপড়ের মাস্ক পড়লে হবে না বলেও জানান তিনি। বেশি জনাকীর্ণ স্থানে সবার কেএন৯৫ বা এন৯৫ মাস্ক পড়া উচিত। যদিও এটা একটু ব্যয়বহুল বলেও জানান তিনি।

গত ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়। এরপর আফ্রিকান দেশগুলোর ওপর একের পর এক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অসংখ্য দেশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনার নতুন এই ধরনে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওমিক্রনে এমন কিছু মিউটেশন বা রূপান্তর ঘটেছে, যার ফলে এর বিরুদ্ধে প্রচলিত টিকাগুলো কার্যকর না-ও হতে পারে। তবে বিধিনিষেধের বিষয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় পদক্ষেপ নিতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি।