‘কঠোরতম’ বিধিনিষেধে মানুষের চরম দুর্ভোগ

ঈদের পর আজ থেকে ‘কঠোরতম’ বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে ঢাকায় ফেরা মানুষের চরম দুর্ভোগ দিয়ে। গন্তব্যে পৌঁছাতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের।

শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় দুই সপ্তাহব্যাপী ‘কঠোরতম’ বিধিনিষেধ। যারা ঢাকায় ফিরেছেন সকালে বাসায় পৌঁছাতে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। কোনো ধরনের যানবাহন না পেয়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হতে হয় তাদের।

ঈদের দ্বিতীয় দিন এবং সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় রাস্তায় হাতেগোনা কয়েকটি রিকশা দেখা যায়। তারা দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া হাঁকিয়েছেন। কাউকে দেখা গেছে ভ্যানে করে বাসার উদ্দেশে যেতে।

তবে অধিকাংশ মানুষকে পায়ে হেঁটে বাসায় ফিরতে দেখা গেছে। ফাঁকা রাস্তার পাশ ধরে হাঁটছিলেন সবাই। ছোট শিশু নিয়ে দীর্ঘপথে এ সময় বিপাকে পড়েন অনেকে। দুর্ভোগে পড়েন জরুরি সেবায় জড়িত অফিসগামী মানুষও।

বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছিলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয় কিন্তু ঈদের পর তা কঠোরভাবে পালিত হবে।

কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় থাকছে

১. সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।

২. সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গণপরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) ও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

৩. শপিংমল/মার্কেটসহ সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

৪. সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

৫. সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।

৬. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

৭. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

৮. ব্যাংক-বিমা/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

৯. সরকারি কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাপ্তরিক কাজগুলো ভার্চ্যুয়ালি (ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) সম্পন্ন করবেন।