কেন্দ্র পরিবর্তন করে টিকা নেওয়া যাবে না

কেন্দ্র পরিবর্তন করে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রবিবার ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন বিষয়ক ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক।

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কেন্দ্র পরিবর্তন করে এখন আর টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে না, এটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার যে কেন্দ্র রয়েছে, সেই কেন্দ্র থেকেই মোবাইল ফোনে এসএমএস দেওয়া হবে।’

১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ এখন টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

ডা. শামসুল হক বলেন, ‘নিবন্ধনের পর এসএমএস দেওয়া হবে এবং তারপর নির্দিষ্ট দিনে কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।’

কেউ নির্দিষ্ট দিনের আগে বা পরে টিকা নিতে চেষ্টা করলে টিকা নেওয়ার তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যভাণ্ডারে যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে টিকার দ্বিতীয় ডোজ এবং টিকার সার্টিফিকেট পেতে সমস্যা হবে বলে জানান ডা. শামসুল হক।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশন করেই আমাদের টিকা নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না, এ কথাটা বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে।’

ডা. শামসুল হক জানান, দেশে ফাইজার বায়োএনটেকের এক লাখ ৬০২ ডোজ টিকা এসেছে। রাজধানীর চারটি মেডিকেল কলেজ ও তিনটি বিশেষায়িত হাসপাতালে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই হাসপাতালগুলোতে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। ফাইজারের টিকা শেষ হওয়ার পর এই সাত কেন্দ্রে মডার্নার টিকা দেওয়া হবে।

শামসুল হক বলেন, ‘তবে ঢাকার এই সাত হাসপাতাল বাদে বাকি যে ৪০টি টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে, সেখানে ১৩ জুলাই থেকে মডার্নার টিকা দেওয়া শুরু হবে।’

তিনি জানান, সৌদি আরব ও কুয়েতসহ অন্যান্য দেশেও মডার্নার টিকা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য ঢাকার সাতটি কেন্দ্র ছাড়া ঢাকা শহরের অন্যান্য টিকাদান কেন্দ্র এবং দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় কেন্দ্র বাছাই করতে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। টিকা নিতে প্রবাসী শ্রমিকদের এখন যে ভোগান্তি হচ্ছে, সেটা আর থাকবে না বলে জানান তিনি।

বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োজনীয়তা সরকারের দৃষ্টিতে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিগগিরই সুনির্দিষ্ট ধারণা দিতে পারবো এবং কীভাবে তারা টিকা নিতে পারবেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা তৈরি করার চেষ্টা করছি।’