দেশে বিদেশে মুজিব শতবর্ষ উদযাপন

ভোক্তাকণ্ঠ প্রতিনিধি: বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ আগামী ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনি ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে উৎসবমুখর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও খণ্ডচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হবে। তিনি আরো বলেন, দেশব্যাপী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের উদ্যোগে তৃণমূলের জনগণকে সম্পৃক্ত করে মুজিববর্ষ উদযাপন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা, ইংরেজিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি, স্কেচ ও আলোকচিত্র নিয়ে বই ‘শেখ মুজিব : লাইফ অ্যান্ড টাইমস’ প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং বঙ্গবন্ধু নির্বাচিত ভাষণ ইংরেজি ছাড়াও হিন্দি, উর্দু, ফরাসি, জার্মান, চাইনিজ, আরবি, ফারসি, স্প্যানিশ, ইতালিয়ান, কোরিয়ান ও জাপানি—এই ১২টি ভাষায় অনুবাদ ও প্রকাশ করা হবে।

এদিকে ইউনেসকোর ৪০ তম সাধারণ অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার ফলে ইউনেসকোভুক্ত বিশ্বের ১৯৫ টি দেশে উদ্‌যাপন করা হবে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী।

২০২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি (মরণোত্তর) প্রদান করা হবে।

সংসদ নেতা জানান, মিডিয়া, প্রচার ও ডকুমেন্টেশন উপকমিটি ১১টি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সিএনএন, বিবিসি, আলজাজিরা, স্কাই নিউজ চ্যানেল-২৪ ও এনডিটিভিতে কন্টাক্ট রিলিজ, আন্তর্জাতিকভাবে বহুল প্রচারিত প্রভাবশালী পত্রিকা, সাময়িকী ও ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশ করা হবে।

তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর পর ২১টি বছর জাতির পিতার নাম-নিশানা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলার মাটিতে সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে চাপা দিয়ে রাখা যায় না, মুছে ফেলা যায় না—সেটা আজ প্রমাণিত সত্য।

এ ছাড়া মস্কো,দিল্লি,ওয়াশিংটনসহ ১২টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন, লন্ডনের সংসদে একটি অনুষ্ঠান, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানেরও পরিকল্পনা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের।