পাঁচ মেডিকেল কলেজে হবে বার্ন ইউনিট

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:  দেশের পাঁচটি মেডিকেল কলেজে বার্ন ইউনিট স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক সুবিধাদি ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এই জন্য ৪৫৬ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটিসহ গুরুত্বপূর্ণ ১০ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৭ হাজার ৪৪৭ কোটি ৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

‘এস্টাবলিশমেন্ট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট অ্যাট ফাইভ মেডিকেল কলেজ হসপিটালস (সিলেট, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী অ্যান্ড ফরিদপুর)’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে একনেক সভায়। প্রকল্পের অধীনে এসব হাসপাতালে ‘বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট’ স্থাপন এবং সাশ্রয়ী মূল্যে পোড়া ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের মানসম্পন্ন চিকিৎসা প্রদান করা হবে। খুলনা ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র সরবরাহ করা এবং প্রায় ৫০০ জন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এবং সহায়তা কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে। এ প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২০২ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে ২৫৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাওয়া যাবে। একনেকে অনুমোদনের পর চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন ২০২৪ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

প্রকল্পটি ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে বৈদেশিক সাহায্য প্রাপ্তির সুবিধার্থে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নেই। তবে, ২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপিতে প্রকল্পটি অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রকল্পের আওতায় ৫টি বিদ্যমান ভবনের ১৯ হাজার ৯৩৫ বর্গমিটার ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ ও সংস্কার করা হবে। দুই লাখ ১৯ হাজার ৪৫৭টি মেডিকেল ও সার্জিক্যাল সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া ১৪ হাজার ২২টি আসবাবপত্র ও একটি ১টি জিপ কেনা হবে।

একনেক সভা সূত্র জানায়, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন ও অধিগম্যতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য সেক্টরের চিহ্নিত সূচকসমূহের অগ্রগতি অর্জনে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, যার সঙ্গে প্রকল্পটি সংগতিপূর্ণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় জনগণের জন্য উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবায় অভিগম্যতা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতকে শক্তিশালীকরণ, দক্ষতার উন্নয়ন ও সমতা নিশ্চিতকরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।