বিআরবি-বিজলীর নকল তার তৈরির কারখানায় অভিযান

পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিআরবি ক্যাবল ও বিজলী ক্যাবলসের নকল কারখানার সন্ধান পেয়েছে সিআইডি। কারখানাটিতে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পুরান ঢাকার বংশালে বিভিন্ন নামি-দামি ব্যান্ডের নকল তার তৈরির করা হয়। এসব নকল তার নবাবপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হতো। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডি গতকাল (২৩ নভেম্বর) বংশালের ১৯/২ নম্বর কাজী আবদুল হামিদ লেনের চান্দনা মার্কেটের চতুর্থ ও ষষ্ঠ তলায় তিনটি নকল তারের কারখানায় অভিযান চালায়। অভিযানে কারখানাগুলোতে বিপুল পরিমাণ নকল বিআরবি ক্যাবল ও বিজলী ক্যাবল পাওয়া যায়। এ সময় নকল তার সম্বলিত ববিন, বিআরবি নকল তার তৈরির ডাইস এবং নকল তার তৈরির মেশিন জব্দ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ইমাম হোসেন বলেন, আটকরা এ ধরনের বৈদ্যুতিক তার তৈরির ক্ষেত্রে কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি। অভিযানে তিনটি কারখানা থেকে প্রায় তিন কোটি টাকার নকল তার জব্দ করা হয়। তারা জানায়, এখানে এক বান্ডেল আসল বিআরবি ক্যাবল তৈরি করা হলে নকল বিআরবি ক্যাবল তৈরি করা হতো তিন বান্ডেল।

আটকরা হলেন- মো. সোহেল রানা, মো. আবুল কালাম, মো. রাজিব মোল্লা, মো. জসিম উদ্দিন, মো. রফিকুল ইসলাম সুমন, মো. নাজির হোসেন, মো. শাহিন শেখ, মো. লিখন, আরিফ, মো. হাবিবুল ইসলাম।

ইমাম হোসেন বলেন, দেশে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটের কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়েছে। ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের সিআইডি এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ছায়া তদন্ত করে। তদন্তে দেখা যায়, নকল ক্যাবল এবং বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা পণ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে অগ্নিকাণ্ডের অন্যতম কারণ। এ ধরনের নকল তার ব্যবহারের ফলে শিল্প কলকারখানাসহ আবাসিক ভবনে বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এই ঘটনায় বংশাল থানায় একটি মামলা করে সিআইডি। মামলায় ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। আটক ১০ জনকে গ্রেফতার ও অন্যদের পলাতক দেখানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় সিআইডি।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, বিশেষ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিসানুল হক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান উপস্থিত ছিলেন।