লকডাউনে বাড়ি থেকে বের হলেই গুনতে হচ্ছে জরিমানা

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহবাগ এলাকায় আওলাদ হোসেন নামে এক যুবককে গুনতে হয় এক হাজার টাকা জরিমানা।
মোটরসাইকেলে রাজধানীর নিউ মার্কেটের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি শাহবাগ মোড়ে আসতেই পড়েন সমস্যায়। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোটরসাইকেল দেখে থামানোর নির্দেশ দেন এবং জানতে চান, আপনার কাজটি কি জরুরি? কিন্তু আওলাদের উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় এক হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয় তাকে।

শুধু মোটরসাইকেল চালক ও প্রাইভেট কার চালকই নয়, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বেরুলেই মামলা ও জরিমানা গুনতে হচ্ছে অনেককে। অনেকে আবার অভিযোগ করেছেন, তাদের কাছে মুভমেন্ট পাস থাকার পরেও পুলিশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।দেশে মহামারী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বুধবার থেকে এক সপ্তাহের লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে অনেককেই নানা অজুহাতে ঘরের বাইরে বের হতে দেখা গেছে। ফলে গতকাল শাহবাগে লকডাউন নিশ্চিতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া মানুষকে জরিমানাসহ শাস্তি নিশ্চিত করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর নেতৃত্বে ছিলেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। এ ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ তৎপর ছিল।

গতকাল ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত শাহবাগে চেকপোস্ট বসিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ১৫টি যানবাহনকে মামলা করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে নগদ সাত হাজার টাকা। এ ছাড়া সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জনসাধারণকে ২৫০টি মাস্ক বিতরণ করে র্যাব। র‌্যাব-৩-এর সদস্যরা রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়া অনেককে থামিয়ে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চান। যারা মুভমেন্ট পাস দেখাচ্ছেন কিংবা যৌক্তিক ও জরুরি প্রয়োজনের কথা জানাচ্ছেন তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। তবে সাধারণ প্রয়োজনকে জরুরি প্রয়োজন হিসেবে উপস্থাপন করলেই পড়তে হচ্ছে জরিমানার মুখে। গাড়ি ছাড়াও হেঁটে স্বাস্থ্যবিধি না মানা বা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলে তারাও পড়ছেন জরিমানার মুখে। মুভমেন্ট পাস ছাড়া বের হলেই ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, জনগণ এখনো সচেতন হচ্ছে না। আমরা সচেতন করানোর চেষ্টা করছি। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের নির্দেশনায় লকডাউন চলছে। এটি বাস্তবায়নের জন্য আমরা মাঠে রয়েছি। তিনি বলেন, যারা সরকারি নির্দেশনা মানছেন না আমরা তাদের পেনাল কোডের সংক্রামক রোগ ছড়ানোর ধারা ও অবহেলাজনিত ধারায় মামলা ও জরিমানা করছি। অপরাধ অনুযায়ী জরিমানা করা হচ্ছে। তবে আমরা সচেতনতার ওপর বেশি নজর রাখছি।