শাহজালালে রাতে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ, যাত্রীদের ভোগান্তি

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: গত ১০ ডিসেম্বর থেকে রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ করেছে বেসামারিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বিমানবন্দরে হাইস্পিড ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণ কাজের জন্য আগামী ছয় মাস রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা করে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকার কারণে দিন-রাতের অবশিষ্ট ১৬ ঘণ্টায় ২৪ ঘণ্টার সিডিউল ফ্লাইটের ব্যবস্থাপনা করতে হচ্ছে।

ফ্লাইট সিডিউল মেলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। নানা কারণে অনেক ফ্লাইট বিলম্বে ছাড়ছে। কোনো কোনো ফ্লাইট অবতরণের সবুজ সংকেত না পেয়ে আকাশে চক্কর দিয়ে পরে অবতরণ করছে। একই সময়ে একাধিক ফ্লাইটের যাত্রী নামায় তাদের ইমিগ্রেশনসহ সামগ্রিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে করতে গিয়ে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। দূরদেশ থেকে বিমানবন্দরে নামার পর দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ও মালামাল নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রলি খুঁজে না পেয়ে যাত্রীরা হইচই করছেন। অনেক সময় মাছের বাজারের চেয়ে ‘খারাপ’ পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। অসংখ্য যাত্রীকে মাথায় মালামাল বহন করে বাইরে বের হতে দেখা যায়। যাত্রীদের নিয়ে আসতে স্বজনরা এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন। ফ্লাইট বিলম্বের কারণে তাদের রাস্তাঘাটে বসে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

বেবিচকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, করোনা মহামারির প্রকোপ কমে আসায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল ও যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর একদিনে শতাধিক ফ্লাইটে ২০ হাজারের বেশি যাত্রী যাওয়া-আসা করেছে। করোনার আগে স্বাভাবিক সময়ও এত বিপুল সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত ছিল না।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাতে ৮ ঘণ্টা ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকার পরও স্বাভাবিক পরিবেশ ও যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে করণীয় নির্ধারণে বেবিচক চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে সভা করেছেন। সভায় ট্রলি সমস্যাার সমাধানে এক সপ্তাহের মধ্যে নষ্ট ট্রলিগুলো দ্রুততার সঙ্গে মেরামত করতে বলা হয়। তাছাড়া আগামী মাসে নতুন ট্রলি আসছে বলে জানানো হয়।

বিমানবন্দরে ল্যান্ডিং সমস্যা সমাধানে দেশীয় বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো ঢাকার বাইরের বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ রাখার সাময়িক ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানানো হয়। একজন কর্মকর্তা উদাহরণ দিয়ে বলেন, আগে বেসরকারি যে এয়ারলাইন্সটি ঢাকা থেকে সিলেট বা কক্সবাজার গিয়ে ঢাকায় ফিরে আসতো, তাদের সিলেট বা কক্সবাজার থেকে ঢাকায় এসে আবার সিলেট ও কক্সবাজারে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার রিভার্সড সিডিউল তৈরি করতে বলা হয়।

বেবিচক সূত্রে আরও জানা গেছে, বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে ফ্লাই ফাস্টের প্রস্তুতির জন্য ১১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিমানবন্দরের রানওয়ে ব্যবহার করা হবে। এ পাঁচদিন সকাল ১০টা ১৫ মিনিট থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে।