সবাইকে কাজ করতে হবে, দেশটা কারও একার নাঃ মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার

ঢাকা, ১৯ জুন বুধবারঃ আজ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে গত ১০ জুন থেকে ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফুড সেফটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজকের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেইন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, ক্যাবের সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া ,সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিয়াজ রহিম, ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী ইনাম আহমেদ, সেক্রেটারি জাকির হোসেন, রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি রুহুল আমিনসহ এফবিসিসিআইয়ের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন পরিচালক।

আলোচনা সভায় উপস্থিত সবার দৃষ্টি ছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের প্রতি। তাঁর সাম্প্রতিক দায়িত্বপালন পুরো দেশে অভূতপূর্ব সাড়া ফেলেছে। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেছেন,’ ভোক্তা পর্যায়ে সচেতনতা জরুরি। ভোক্তা যখন জাগবে তখন পরিবর্তন আসতেই হবে। এদেশে অনেক আগে থেকেই খাদ্যে ভেজালের কাজ হতো। এখন বেশি বেশি সামনে আসে। কারণ, মিডিয়া সোচ্চার।

তিনি তাঁর বক্তব্যে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘ভোক্তারাই বাংলাদেশে পরিবর্তন আনবে। আমাদের প্রতিষ্ঠান কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তথ্য পায় না। আমরা কাজ করছি সোশ্যাল মিডিয়া দিয়ে, সিটিজেন জার্নালিজম যাকে বলা হয়। আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, তার সফলতা এখানেই। এই যে ভোক্তারা ধীরে ধীরে সক্ষম হচ্ছেন, তারা ফেসবুকে ছবি কিংবা ভিডিও পাঠিয়ে দেন। ভোক্তা পর্যায়ে এই সক্ষমতা যত আসবে, ততই কিন্তু খাদ্য নিরাপদ হবে।’

রাজধানীর ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়, নিজের করা সাম্প্রতিক এই মন্তব্যের স্বপক্ষে তিনি জানিয়েছেন, ‘গত ১৬ জুন আমার কর্মকর্তাদের সূত্রাপুরে পাঠিয়েছি, ঠিক আছে কিনা দেখতে। ১২টি ফার্মেসির মধ্যে তারা ১১টিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পেয়েছেন। আমি কখনও ডকুমেন্টেশনের বাইরে কথা বলি না। যতগুলোতে পেয়েছি তার গড় ৯৩ শতাংশ। সামনে এমন দিন আসবে যখন আমরা ওয়াসা, স্যানিটেশন, জ্বালানি নিয়ে কাজ করবো। আমি আমার কাজের ক্ষেত্রে রোবট হয়ে যাই, রোবট না হলে বাংলাদেশে সমৃদ্ধি আসবে না। ব্যক্তিগত সম্পর্ক এক জিনিস, আর কাজের সম্পর্ক আরেক জিনিস। সবাইকেই কাজ করতে হবে। দেশটা কারও একার না।’