সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটে দুর্ভোগে শিক্ষর্থী-অফিসগামী যাত্রীরা

সিলেট জেলা প্রতিনিধি

পাঁচ দফা দাবিতে সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটের ফলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির ডাকে সোমবার ভোর ৬টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ধর্মঘটের ফলে স্কুল, কলেজ ও অফিসগামী যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।

সকালে হবিগঞ্জ বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বাসগুলো সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। যাত্রীরা সিএনজি, মিনি ট্রাকসহ ছোটখাটো যানবাহনে যাতায়াত করছে। ফলে তাদের গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া।

রহিম উল্ল্যা নামে এক যাত্রী বলেন, বাস মালিক-শ্রমিকদের কাছে দেশের মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। কথায় কথায় তারা ধর্মঘট ডাকে।এর প্রভাব পড়ে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের ওপর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সরকারি কর্মচারী বলেন, আজ কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে অফিসে পৌঁছাতে হবে। এখনই যদি পরিবহন শ্রমিকদের লাগাম না টানা হয় ভবিষ্যতে তাদের সামলানো যাবে না।

হবিগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সজিব আলী বলেন, আমরা পাঁচ দফা দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। এতে বলা হয়, ২১ নভেম্বরের মধ্যে দাবি মানা না হলে বিভাগের সব শ্রমিক কর্মবিরতি পালনে বাধ্য হবে।

কিন্তু দাবি না মানায় এবং আল্টিমেটাম পার হওয়ায় এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় সিলেট বিভাগের সব ধরনের পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এটা ধর্মঘট নয়, শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছে। পরবর্তীতের আলাপ আলোচনা করে আমাদের করণীয় জানানো হবে।

ধর্মঘটের প্রতি একাত্মতা পোষণ করে হবিগঞ্জ মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শঙ্ক শুভ্র রায় বলেন, এ ধর্মঘট আমাদের নয়। পাঁচ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শ্রমিক ফেডারেশন। আমরা তাদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছি এবং ধর্মঘট কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছি।