কমেছে মুরগি ও ডিমের দাম

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ঢাকার খুচরা ও পাইকারি বাজারে মুরগি ও ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে।

ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬৫ থেকে ১৬০ টাকা।

এদিকে সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ২৯০-৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৩১০-৩২০ টাকা ছিল।

রাজধানীর কাঁচা বাজারে দেশি মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়।

এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় খামারের ডিমের দামও কমেছে।

অপরদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এক ডজন খামারের ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা ও গত মাসে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়।

এদিকে মৌসুম হলেও রাজধানীর কাঁচা বাজারে শীতকালীন সবজির দামের উর্ধ্বগতি দেখা গেছে।

তবে গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে।

কয়েকটি সবজি ছাড়া বাজারে ৫০ টাকা কেজির নিচে কোনো মৌসুমি সবজি নেই। ক্রেতারা বলছেন, ভরা মৌসুমে এমন দাম অস্বাভাবিক।

বিভিন্ন কাঁচা বাজার থেকে জানা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৪০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি এবং কুমড়া ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরেবিক্রি হচ্ছে।

এসব সবজির বেশির ভাগের দাম গত ১৫ দিনে যেমন ছিল তেমনই রয়েছে।

তবে ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁপে ও মুলার দাম কিছুটা কমেছে।

প্রতি পিস ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা ও পেঁপে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে, বিশ্বব্যাপী চালের দাম বেড়েই চলেছে, যা আমদানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ১.৪ মিলিয়ন টন চাল আমদানি করার কথা রয়েছে।

এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে চালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে।

আলগা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৮০ টাকা, বোতল প্রতি লিটার ১৯০ টাকা এবং ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হয়েছে ৯২৫ টাকায়। চিনি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১১৫ টাকায়।

সরকার সয়াবিন তেল ও চিনির দাম বাড়ানোর পরও রান্নাঘরের বাজারে এ দুটি পণ্যের সরবরাহ এখনো পর্যাপ্ত নয়।

চিনি ও সয়াবিন তেলের অপর্যাপ্ত সরবরাহের পেছনে অদৃশ্য কারণ নিয়ে এখনো অন্ধকারে রয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।