রমজানে ঢাকা ওয়াসার কার্যক্রম সম্পর্কে জানালেন এমডি

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: আসন্ন রমজান মাসে ঢাকা শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য সামগ্রিক প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। এসময়ে ঢাকা ওয়াসার সকল পানি শোধানাগার ও পানির পাম্পসমূহ নিরবচ্ছিন্নভাবে ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে।

শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকা ওয়াসা সম্মেলন কক্ষের বুড়িগঙ্গা হলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) তাকসিম এ খান ।

তিনি বলেন, ঢাকা ওয়াসার সকল পানি শোধানাগার ও পানির পাম্পসমূহ নিরবচ্ছিন্নভাবে ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে।বিদ্যুৎ বিভ্রাটকালীন সময়ে পানির পাম্পগুলো ডুয়েল সোর্স (দ্বৈত উৎস) বিদ্যুৎ লাইন মোবাইল জেনারেটর দ্বারা চালু রাখা হবে। সবগুলো জোনাল অফিসে পর্যাপ্ত পানির পাড়ী (ট্যাঙ্ক) প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাড়ীর মাধ্যমে চাহিদাকৃত স্থানে দ্রুত পানি সরবরাহ করার লক্ষ্যে মাস জোনের বিভিন্ন সুবিধাজনক পাম্পে স্মার্ট হাইড্রেন্ট স্থাপন করা হয়েছে।

রমজান মাসের জন্য ঢাকা ওয়াসার প্রদক্ষেপগুলো হলো-

রমজান উপলক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে জনসমাগম স্থান, যেমন গুলিস্তান, ফার্মগেট, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, সায়েদাবাদ বাসষ্ট্যান্ডসহ এমন সকল জোনের বিভিন্ন স্থানে ইফতার ও সেহরির সময় প্রকি ট্যাংকগুলো স্থাপন করে পানি সরবরাহ করা হবে।

রাজধানীর মসজিদগুলোতে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে পানি সরবরাহের জন্য ঢাকা ওয়াসার ৪৮টি পানির গাড়ি এবং ১৭ টি ট্রান্তর প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

লোডশেডিং এর সময় স্ট্যান্ডবাই পাওয়ার ফোর্স হিসাবে ৩৮০ টি ফিড জেনারেটর এবং ১১টি মোবাইল জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

অভিযোগ প্রাপ্তিসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ওয়াসা-লিংক- ১৬১৬২ এবং ১১টি অভিযোগ কেন্দ্র ২ ঘন্টা খোলা রাখা হবে।

মজস জোনের পানির পাম্প মনিটরিং করার জন্য বিদ্যমান ১০টি এ্যাডভাইজরী ও মনিটরিং টিম থাকবে।

এ বিষয়ে তাকসিম বলেন, আশা করা যায় রমজানে কোন সমস্যা দেখা দিবে না। তবে, রমজান মাসে পানি ব্যবহারের প্যাটার্ন কিছুটা বদলে যায়। এছাড়াও প্রীত মৌসুমে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় উৎপাদন ক্ষেত্রবিশেষে কমে যেতে পারে। কোন কোন সময় গভীর নলকূপ পাম্প মোটর রক্ষনাবেক্ষনের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের অন্যতম বড় উৎসব ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে রমজান মাসের আগে থেকেই ঢাকা শহরে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী ও অস্থায়ী দর্শনার্থীর উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাময়িকভাবে পানির ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। এসকল কারনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে পকেট সমস্যার সৃষ্টি হলেও তা মোকাবেলা করার জন্য ঢাকা ওয়াসা প্রস্তুত রয়েছে। সমস্যা দেখা দিলে রেশনিং-এর মাধ্যমে পানি সরবরাহ বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এসময়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওয়াসার কারও বিরুদ্ধে যদি দায়িত্বে অবহেলার কোন তথ্য থাকে, তাহলে আমাদেরকে জানাবেন। তার বিরুদ্ধে সর্বচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়াও পানি অপচয় রোধের জন্য গ্রাহকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।