হিলিতে লোকসানের শঙ্কায় খালাস করা হচ্ছে না ভারতীয় চাল

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ভারত থেকে চাল আমদানি। আমদানি বাড়লেও লোকসানের শঙ্কায় বন্দর থেকে চাল খালাস করছেন না আমদানিকারকরা। সরকার দ্রুত শুল্ক কমিয়ে আমদানিকৃত চাল বাজারজাত করার সুযোগ করে দেবে এমন প্রত্যাশা আমদানিকারকদের।

হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধের পর দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে গত ২৩ জুলাই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয় ভারত থেকে চাল আমদানি। আমদানি শুরু হলেও ডলার সংকট ও ভারতে চালের দাম বাড়ায় ধীরগতিতে চলে চালের আমদানি। তবে সম্প্রতি এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বেড়েছে চাল আমদানি। শুরুর দিকে ৫ থেকে ৬টি করে চালবোঝাই ট্রাক এই বন্দরে প্রবেশ করলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ থেকে ৩০ ট্রাকে। তবে আমদানি বাড়লেও ব্যাংক গুলোতে এলসির মার্জিন শতভাগ করায় লোকসানের আশঙ্কায় বন্দর থেকে চাল খালাস করছেন না আমদানিকারকরা। যার ফলে বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় এখনো পড়ে রয়েছে ১০০টি ভারতীয় চালবোঝাই ট্রাক। ব্যাংকের মার্জিন রেট ও শুল্ক কমানো গেলে কিছুটা লোকসান কাটিয়ে আমদানিকৃত চালগুলো বাজারজাত করা যাবে বলে জানান আমদানিকারকরা।

চাল ব্যবসায়ীরা বলেন ,ভারত থেকে আমদানি করা চালে কেজি প্রতি শুল্ক দিতে হচ্ছে প্রায় ৫৮ টাকা আর দেশে চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। দেশে চালের দাম কমানোর জন্যই ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এর উল্টো হচ্ছে। আগে এলসির চাল খালাসে ব্যাংকের মার্জিন শতভাগ ছিল না। চাল খালাসের পর ব্যাংককে পরিশোধ করা হতো, কিন্তু এখন আগেই শতভাগ পরিশোধ করতে হচ্ছে। তাছাড়া বিশ্ববাজারে ডলার সংকটের কারণে দেশে এর প্রভাব পড়ছে।

হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানি হওয়া চালবোঝাই শতাধিক ট্রাক খালাসের অপেক্ষায় আটকে আছে। খালাসের জন্য বন্দরের পক্ষ থেকে সব প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। আমদানিকৃত চাল দ্রুত খালাসে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে হিলি পানামা পোর্ট কর্তপক্ষ।