বাজারে নতুন চাল এলেও স্বস্তি আসেনি দামে

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: নওগাঁয় চলতি মৌসুমের আমন ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষ। বাজারে এসেছে নতুন চাল। তবে দামে স্বস্তি আসেনি। গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে সব ধরনের চালেই প্রতি কেজিতে দুই টাকা বেড়েছে।

মঙ্গলবার নওগাঁ শহরের পাইকারি মোকামসহ খুচরা বাজার ঘুরে জানা যায়, চালের দাম বেড়েছে। ধানের বাজার ঊর্ধ্বমুখী, তাই আগামী দিনে চালের দাম আরও বাড়বে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

এদিন আড়তে ৫০ কেজির স্বর্ণা-৫ জাতের চালের বস্তা বিক্রি হয় দুই হাজার ৪০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল দুই হাজার ৩০০ টাকা। এছাড়া ছাঁটাই করা কাটারিভোগ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৩০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ১৫০ টাকা।

খুচরা বাজারে স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৫০ টাকা, কাটারিভোগ ৬৬, জিরাশাইল ৬২, নাজিরশাইল ৫২, আটাইশ ৫৮, চিনি আতপ ১৩৫-১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে সব ধরনের চালই কেজিতে এর চেয়ে দুই টাকা কমে বিক্রি হয়েছে।

শহরের পৌর মার্কেটের আইয়ুব আলী নামে এক চাল ব্যবসায়ী বলেন, আপাতত চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। বাজারে ধানের দাম বাড়তি, তাই চালের দাম সামনে হয়তো আরও বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, এখন স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ পর এই চালই ৫৫ টাকা কিনতে হতে পারে।

পৌর মার্কেটের আব্দুর রহমান ট্রেডার্সের বিক্রেতা জিন্নাহ বলেন, চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। চালের দাম প্রকারভেদে প্রতি বস্তায় ১০০ থেকে দেড়শ টাকা বেড়েছে।

শহরের ব্রিজের মোড়ে চাল কিনতে আসা আলতাফ মণ্ডল বলেন, সারা বছরই চাল কিনে খেতে হয়। নতুন ধান ওঠায় মনে করেছিলাম দাম হয়তো কিছুটা কমবে। বাজারে এসে শুনি কেজিতে দুই-তিন টাকা বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, ১০ কেজি চাল কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু দোকানি বললেন, সামনে দামও আরও বাড়বে। তাই এক বস্তা কিনে নিয়ে যাচ্ছি।

নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, বর্তমানে হাটে ধানের সরবরাহ কমে গেছে। কৃষকরা মনে করছেন ভোটের পর হয়তো ধানের দাম আরও বাড়বে। তাই তারা হাটে ধান আনছেন না। আজও সব ধরনের ধানে প্রতি মণে ১০০ টাকা বেড়েছে। ধানের দাম বাড়লে চালের দাম বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক।