নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন দামে দিশেহারা ক্রেতা

লকডাউনের অজুহাতে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে শসা-বেগুনসহ ইফতার আইটেমের দাম। ৬০ টাকার নিচে মিলছে না পোটলসহ অন্যান্য সবজি। অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির জন্য আড়তদারদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন খুচরা বিক্রেতারা। এদিকে লকডাউনে মহাসড়কে চাঁদাবাজির কারণ দেখিয়ে আরেক দফা বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম।

স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে রমজানে শসা, বেগুন, লেবুর বাড়তি চাহিদা থাকে। সেই সুযোগে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, শসার দাম উঠেছে ৮০ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত। বেগুন ৮০ টাকায় আর লেবু হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। এ অবস্থায় বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।তারা বলেন, শসার দামটা একটু বেশি। ১০০ টাকার নিচে বাজারে কোনো শবজি নেই। এমন অবস্থা চলতে থাকলে না খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে।

অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন খোদ খুচরা বিক্রেতারা।তারা বলেন, বেগুনের দাম অনেক বেশি। লেবুর হালি ৮০ টাকা। সবকিছুরই দাম বাড়ছে। লকডাউনের কারণে বিক্রিও ভালো না। এদিকে, মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা আর সোনালি মুরগি বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। মহাসড়কে চাঁদাবাজির কারণে দাম ঊর্ধ্বমুখী বলে দাবি বিক্রেতাদের।তবে বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে বেঁধে দেয়া ৫৮০ টাকা কেজি দরেই।