রডের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যের তালিকা টানাতে হবে

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: দেশের রড ও স্টিলের বিপণন ব্যবস্থায় যুক্ত মিল, ডিলার ও খুচরা পর্যায়ে কারসাজির মাধ্যমে দামবৃদ্ধির আভাস পাওয়া গেছে। কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিকারের প্রধান কার্যালয়ে ভবন নির্মাণ ব্যবসায়ী ও রড ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান এমন মন্তব্য করেন। রডের বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে গতকাল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রিজ ও ইংলিশ রোড আয়রন অ্যান্ড স্টিল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে ভোক্তা অধিদপ্তর।

ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, খুচরা বা পাইকারি সব পর্যায়ে রডের ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য তালিকা টানাতে হবে। বিপণনে পাকা রসিদ বা প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা দিয়ে ছাপানো রসিদ ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া উৎপাদন থেকে বিপণন পর্যন্ত কোনো স্তরে কত টাকা মুনাফা করা যাবে তা নির্ধারণ করা হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সফিকুজ্জামান বলেন, শোনা যাচ্ছে খুচরা দোকানে প্রতি টন রডের দাম পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। গত তিন মাসে বিভিন্ন স্তরে রডের ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেড়েছে। কেউ কেউ ভালোমানের রডের দামে খারাপ মানের রড বিক্রি করছেন। কেউ কেউ ওজনে কম দিচ্ছেন।

রডের সঙ্গে সিমেন্ট ও বালুসহ সব ধরনের নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে। দেশে বড় বড় প্রকল্পের কাজ চলছে। হঠাৎ এসব সামগ্রীর বাড়ায় ঠিকাদারদের কাজে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। ব্যয় বাড়ছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের অজুহাত দেখাচ্ছেন। যুদ্ধের কারণে হয়তো বিশ্ববাজারে প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু এত কম সময়ের মধ্যে দেশের বাজারে রডের দাম এত বেড়ে যাওয়া পুরোপুরি অযৌক্তিক। রডের যৌক্তিক দাম নির্ধারণের উপায় বের করতে হবে। এ ব্যাপারে রড উৎপাদনকারী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

বৈঠকে ইংলিশ রোড আয়রন অ্যান্ড স্টিল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন বলেন, তাদের কমিশন এজেন্টের মতো রড ও স্টিল বিক্রি করতে হয়। প্রতি টনে লাভ হয় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা।
মিল মালিকরা রডের সাপ্লাই অর্ডারে (এসও) যে দাম উল্লেখ করে প্রকৃত দাম তার চেয়ে বেশি নেয়।
ইমরান হোসেন বলেন, ছয় মাস আগে সরবরাহ আদেশে প্রতি কেজি রড ৬৩ বা ৬৪ টাকা হলে যদি ছয় মাস পর বাজারে দাম বেড়ে ৯০ টাকা হয়, তাহলে ওই আদেশে আগের মূল্যই থাকে। অভিযানের সময় ভোক্তা অধিদপ্তরকে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।