বঙ্গবন্ধু টানেলে সর্বনিম্ন টোল ২০০ টাকা

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ব্যবহারের জন্য যানবাহনের টোল নির্ধারণ করেছে সেতু বিভাগ। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সেতু বিভাগের উপসচিব মো. আবুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ টোল নির্ধারণের কথা জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে কার, জিপ এবং পিকআপভ্যানের জন্য টোল ২০০ টাকা; মাইক্রোবাসের জন্য ২৫০ টাকা; বাস (৩১ আসন বা এর কম) ৩০০ টাকা; বাস (৩২ আসন বা বেশি) ৪০০ টাকা; বাস (৩ এক্সেল) ৫০০ টাকা; ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ৪০০ টাকা; ট্রাক (৫.০১ টন থেকে ৮ টন পর্যন্ত) ৫০০ টাকা; ট্রাক (৮.০১ থেকে ১১ টন) পর্যন্ত ৬০০ টাকা; ট্রাক/ট্রেইলার (৩ এক্সেল) ৮০০ টাকা; ট্রাক/ট্রেইলার (৪ এক্সেল) এক হাজার টাকা এবং ট্রাক/ট্রেইলার (৪ এক্সেলের বেশি) এক হাজার টাকার সঙ্গে প্রতি এক্সেলের জন্য ২০০ টাকা টোল দিতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্তকরণের তারিখ থেকে এ টোল কার্যকর হবে।

আগামী সেপ্টেম্বরে এই টানেল চালু হওয়ার কথা রয়েছে।

নির্মাণাধীন টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার। যাতে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটারের একটি অ্যাপ্রোচ রোড ও একটি ৭৪০ মিটার সেতু আছে। এটি চট্টগ্রাম মূল শহর, চট্টগ্রাম বন্দর এবং নদীর পশ্চিম দিককে এর পূর্ব দিকের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

প্রকল্পে ৩৫ ফুট চওড়া ও ১৬ ফুট উঁচু দুটি টিউব ১১ মিটার ব্যবধানে নির্মাণ করা হয়েছে যাতে ভারী যানবাহন সহজে টানেলের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম টানেল টিউবের কাজের উদ্বোধন করেন। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথ ভাবে বঙ্গবন্ধু টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে। প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, এ টানেলে যানবাহন ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলাচল করবে।

১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেল। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে টানেলটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক দুই শতাংশ সুদের হারে পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এবং বাকি অংশের অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার।