ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা কম

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:  করোনাভাইরাসের ডেল্টা সংস্করণের বিরুদ্ধে টিকাগুলো যতটা কার্যকর ছিল, দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া নতুন ধরন ওমিক্রনের ক্ষেত্রে ততটা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে সতর্ক করে দিয়েছে মার্কিন ওষুধপ্রস্তুতকারক কোম্পানি মডার্না। মঙ্গলবার কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্টেফানি ব্যানসেলের এই বার্তা আর্থিক বাজারের জন্য সতর্ক ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে, বলছে রয়টার্স।

ব্যানসেলের এই মন্তব্যে বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন প্রতিরোধের ফলে অসুস্থতা এবং হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধি এবং করোনাভাইরাস মহামারি দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মডার্নার সিইও ব্যানসেল বলেছেন, এমন কোনো স্থান নেই যেখানে টিকার কার্যকারিতার স্তর একই থাকবে… যেমনটা ডেল্টার ক্ষেত্রে ছিল।

তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, একটি উপাদানের পতন হতে যাচ্ছে। তবে আমি জানি না এটা কত বেশি হবে। কারণ আমাদের এখনও আরো ডেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমি যে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছেন, করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট ভালো কিছু হতে যাচ্ছে না।’

দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের ‘অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকি’ তৈরি করেছে বলেছে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর দেশে দেশে বিধি-নিষেধ এবং সীমান্ত বন্ধের হিড়িক শুরু হয়েছে। এর ফলে দুই বছরের বেশি সময় ধরে মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর যে স্বপ্ন দেখা হয়েছিল তা আবারও থমকে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এরপর থেকে করোনার এই ধরন বিশ্বের এক ডজনের বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে। ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভ্যাকসিনের বৈষম্যও এই উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি করেছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আফ্রিকায় নিম্নমাত্রার ভ্যাকসিন সরবরাহের পর নতুন ধরনের এই ভ্যারিয়েন্টের জন্য ওই অঞ্চলের লোকজনকে দোষারোপ করা যাবে না। বিশ্বের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক এবং স্বাস্থ্যগত তথ্য ভাগাভাগি এবং ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করার জন্য তাদের শাস্তি দেওয়া উচিত নয়।’