বায়ুদূষণের কারণে ডিসেম্বরে ঢাকায় স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থার শঙ্কা

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক

আবারও বাড়তে শুরু করেছে ঢাকার বায়ুদূষণ। চলতি মাসের শুরুর দিকের তুলনায় শেষ দিকে তা অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় এসেছে।

রবিবার (২৪ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুমান যাচাই বিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এয়ার ভিজ্যুয়াল’এর বায়ুমান সূচক (একিউআই) অনুযায়ী বায়ু দূষণের মানমাত্রায় ঢাকার পয়েন্ট সকাল ৯টায় ছিল ১৫৬, অবস্থান ছিল ৩ নম্বরে।

ওই সময়ে প্রথম অবস্থানে ছিল ভারতের কলকাতা, মানমাত্রা ১৮১। একই দিন বেলা ৩টায় ঢাকায় মাত্রা হয় ১৬১, অবস্থান একই থাকে। এ সময় প্রথম অবস্থানে ছিল পাকিস্তানের করাচি, মাত্রা ১৭৫। এরপর বিকাল ৫টায় কিছুটা নেমে তা হয় ১৫৫, যা চতুর্থ অবস্থানে ছিল। এ সময় শীর্ষে ছিল চীনের বেইজিং শহর, মাত্রা ১৮৮।

এখনই উদ্যোগ না নিলে আগামী ডিসেম্বরের শুষ্ক মৌসুমে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা তৈরির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিডের লকডাউন ওঠে যাবার পর থেকে বাতাসে দূষণ বাড়তে শুরু করেছে। মাঝে কদিন বৃষ্টির কারণে ধুলোবালি কম হওয়ায় দূষণ কম ছিল। এখন তা আবার অনেক বেড়ে গেছে। সামনে শীতকাল। ফলে ওই সময় এমনিতেই ধুলোবালি বেড়ে যায়। এখনই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে শীতকালে তা কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে সেটাই এখন শঙ্কার কারণ ।

বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ ড. কামরুজ্জামান বলেন, যেসব কারণে বাতাসের দূষণ বাড়ে তার সবকিছুই এখন পুরোদমে চলছে। করোনা সংক্রমণ কমে আসায় মানুষ এখন বাইরে বের হচ্ছে, গণপরিবহণ, ইটভাটা, রাস্তা মেরামতসহ বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের কাজও বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে সরকার উদ্যোগ না নিলে আবারও আমরা দূষণের মাত্রার দিক থেকে প্রথম অবস্থানে ওঠে আসবো।

তিনি বলেন, আমরা যদি এখনই সচেতন না হই, বায়ুমান সূচক যদি তিনদিন ৩০০ পয়েন্টের ওপরে যায়, এবং তা যদি তিন ঘণ্টার মতো থাকে, তাহলে বাতাসের দূষণগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এখন যে অবস্থায় আছে, তাতে শীতকালে সেটা সেখানে গিয়েই দাঁড়াবে। এখনই উদ্যোগ না নিলে আগামী ডিসেম্বরে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, লকডাউনে যখন বাতাসের দূষণ কমে এসেছিল, তখনই বলেছিলাম এ অবস্থা বেশিদিন থাকবে না। কারণগুলো আমরা সবাই জানি। সেগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতেই হবে। আমরা বার বার ক্লিন এয়ার অ্যাক্ট চূড়ান্ত করার কথা বলছি। কিন্তু পরিবেশ মন্ত্রণালয় সেটি ফেলে রেখেছে। সব কিছু দেখে আমাদের মনে হয়, সরকার আন্তরিক না।

খবর: বাংলা ট্রিবিউন