লাভের আশায় আগাম আলু চাষের ধুম

এখনও শেষ হয়নি ধান কাটা-মাড়াই। তার আগেই আগাম জাতের আলু চাষে নেমে পড়েছেন বগুড়ার চাষিরা।

লাভের আশায় আবাদি জমি ফেলে না রেখে আলুর চাষ করছেন তারা। আর এতে মিলবে ভাল দামও। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বগুড়া সদর, শাজাহানপুর, গাবতলীসহ কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, আলু নিয়ে চাষিদের নানা কর্মকাণ্ড।
সরেজমিনে দেখা যায়, এখনও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রয়েছে কাঁচা-পাকা ধান। আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে এসব ধান কাটা ও মাড়াই হবে। এরপর চাষিরা একযোগে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করবেন। তবে বর্তমানে চাষিদের অনেকে জমি তৈরি করতে হাল দিচ্ছেন। মই দিয়ে আলগা মাটি সমান করছেন। অন্যদিকে আলু বীজ বপনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কেউ কেউ। বগুড়ার ১২টি উপজেলা সবজিখ্যাত। তাই এ জেলার চাষিরা মৌসুমী বিভিন্ন সবজি আবাদের পর নেমে পড়েছেন আগাম জাতের আলু চাষে।

সদর উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়নের মানিকচক এলাকার চাষী মানিক মিয়া, নজরুল শেখ জানান, যেসব জমির ধান কাটা হয়ে গেছে বা যেগুলোতে মৌসুমী বিভিন্ন সবজি লাগানো হয়—এমন জমিতে আলু চাষের প্রস্তুতি চলছে। বাকি জমিগুলোর ধান কাটা কবে শেষ হবে এখন তারই অপেক্ষা। এরপর একযোগে চলবে আলুর আবাদ। গতবারের মতো এ মৌসুমেও আলুতে ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন চাষিরা।

গাবতলী ও শাজাহানপুর উপজেলার জিয়াউল, আব্দুর রহিম, তোজাম হোসেন, ইদ্রিস আলী জানান, আগাম জাতের আলু চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়। প্রতি বছর এ সময়টাতে চাষিরা আগাম জাতের আলু চাষ করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কার্ডিনাল ও পাকরি আলুর বীজের দাম গত বছরের তুলনায় এবার কিছুটা কম বলে মন্তব্য তাদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. ফরিদুর রহমান বলেন, এ জেলায় কিছু আলু চাষি রয়েছেন। তারা নিজেরাই প্রতিবছর বীজ সংরক্ষণ করে রাখেন। অনেকে আবার বাজার থেকে বীজ কিনে রোপণ করেন। এরমধ্যে বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায় তুলনামূলক উঁচু জমিগুলোতে আলু চাষ শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত মুনাফার আশায় অনেকে তাদের জমিতে আলু চাষ শুরু করেছেন। রোপা আমন কাটার পর ওইসব জমিতে একযোগে আলুর আবাদ শুরু হবে।